নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম কঠোর হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছেন, ‘গরুর রশি, ট্রলার বা ট্রাক বোঝাই গরু নিয়ে টানাহেঁচড়া করলে বা এক হাত দিবেন তো আরেক হাতে হাতকড়া পড়তে রেডি থাকতে হবে। এক কথা গরুর বেপরিরা যে হাটে যেতে ইচ্ছুক বা যে হাটে যেতে দাদন বা চুক্তি রয়েছে- সেখানে যেতে যে বা যারা বাধা দেবে তারা কার লোক তা দেখা হবে না। বেপারিরা যেন নির্বিঘ্নে গরুর হাটে গরু নিয়ে যেতে পারে এবং গরু বিক্রি করে টাকা নিয়ে নিরাপত্তা সাথে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য আমরা কঠোর নজরদারি রাখবো।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা গরু বোঝাই ট্রাক ও ট্রলার ভর্তি গরু নিয়ে টানাহেঁচড়ার অভিযোগে ৫-৬ জনকে আটক করেছি। নিরাপত্তার জন্য এ অভিযান চলবে।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লা গরুর হাট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন এসপি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও আমি এবং জেলা প্রশাসক সকল হাট পরিদর্শনে যাচ্ছি। হাটের ইজারাদার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে হাটে কোরবানির পশু নিয়ে আসছে তাদের সাথে কথা বলছি। তারা আইন সৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করছেন। এছাড়া কোন রকমের অনিয়ম এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক’ সার্কেল) নাজমুল হাসানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।