ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের নিরাপত্তা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বরং বাস্তবে নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের ঠিকাদারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কাজ চালাতে হবে। নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে দৈনিক ও সাপ্তাহিক ভিত্তিতে মিটিং করতে হবে। নো সেফটি, নো ওয়ার্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেবে।
শনিবারও গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলার সময় একটি প্রাইভেটকারের উপরে রড পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও টনক নড়ে নাই, আর কত প্রাণ গেলে আমাদের টনক নড়বে? সরকারকে বিব্রত করা যাবে না, জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।’
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন সংস্থার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। উন্নয়ন প্রকল্প চলবে দুর্বার গতিতে। তবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নির্মাণ প্রকল্প এলাকার কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করেই কাজ চালাতে হবে। জনগণেকে কীভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়, জনগণকে কীভাবে সুবিধা দেয়া যায় আগে সেটি ভাবতে হবে। নিরাপত্তা ইস্যুতে চমৎকার টিমওয়ার্ক করতে হবে। যারা ভারী কাজ করবে, বিশেষ করে যারা ক্রেন চালাবে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এমনকি ডোপ টেস্টও করতে হবে।
শনিবারও গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলার সময় একটি প্রাইভেটকারের উপরে রড পড়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এসব ঘটনায় সরকার বিব্রত। একটি করে দুর্ঘটনা ঘটে, আমরা বিব্রত, সরকার বিব্রত। গতকালও গাজীপুরে রড পরেছে গাড়ির ওপর। আমাদের এখনও টনক নড়ে নাই, আর কত প্রাণ গেলে আমাদের টনক নড়বে? সরকারকে বিব্রত করা যাবে না, জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কোনো প্রকল্পের কাজ করা যাবে না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করলে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি যে কোনো সময় বিভিন্ন সাইটে পরিদর্শনে যাব, সঙ্গে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা যাবে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় এমআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. দেলওয়ার হায়দার, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ.কে.এম মনির হোসেন পাঠান, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।