• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

ফেসবুক-ইউটিউবকে আইনি নোটিশ

| নিউজ রুম এডিটর ৫:২৬ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২১, ২০২২ আইন ও আদালত, লিড নিউজ

উস্কানিমূলক এবং জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে এমন ভুয়া সংবাদ ও ভিডিও কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক-ইউটিউবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান এ নোটিশ পাঠান।

ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বেশ কয়েকজনকে উল্লেখ করে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উস্কানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ও জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭এ এর ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ১৩, ১৬, ২৫ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।

নোটিশে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশেরও।

নোটিশে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএর স্পষ্ট নীতি ও ফেসবুক-ইউটিবের সাম্প্রতিক রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থী।

ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান বলেছেন, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াগুলো অবশ্যই আমাদের বাক স্বাধীনতা চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে বাকস্বাধীনতার চর্চার নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আমরা যেন সহিংসতা এবং নাশকতাকে উৎসাহিত না করি।

এ বিষয়ে অবশ্যই বিটিআরসি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আরও সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।