• আজ ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

সিত্রাং ঝড়ে লালমনিরহাটের ফসলের ক্ষতি

| নিউজ রুম এডিটর ১:৫৫ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৫, ২০২২ লালমনিরহাট, সারাদেশ

আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এক রাতের ঝড়ো বাতাসে জেলায় তামাকের বীজতলা, শীতকালীন শাক ও সবজিসহ বিশেষ করে আমন ধানের ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ কৃষক। আবহাওয়া ভালো হলে দ্রুত এসব ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসে আগাম ধান ও আমন ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আগাম ধান কাটাই মাড়াই চলছে।

আর এক মাসেই পেরুলেই আমন ধান ঘড়ে তোলার কাজ শুরু হবে। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বয়ে যাওয়া এক রাতের ঝড়ো বাতাসে আগাম ও আমন ধান ক্ষেত মাটির সাথে শুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গাছ পালা সংলগ্ন ক্ষেত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেতেই পাকা ধান ভেঙ্গে পড়েছে।

একদিকে পোকার আক্রমণ ও সার ও বীজের উচ্চমূল্যে লোকসানের মুখে ছিলো চাষীরা। এই অবস্থায় ধান ক্ষেত শুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বলছে, জেলার সদরে ১২০ হেক্টর, আদিতমারীতে ৭০ হেক্টর,
কালিগঞ্জে ৭২ হেক্টর, হাতিবান্ধায় ৬০ হেক্টর ও পাটগ্রামে ২৭ হেক্টর সহ মোট ৩৫৪ হেক্টর জমির ধান বাতাসে শুয়ে পড়েছে।

এছাড়াও জেলায় শীতকালীন সবজি ও আগাম সবজি চাষ ব্যাপকহারে হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই জেলার মোগলহাট, দুর্গাপুরে, কমলাবাড়ি, চাপারহাট এলাকায় সবজি চাষাবাদ হয়েছে। বাতাসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব ক্ষেত। নষ্ট হয়ে পড়েছে তামাকের বীজতলা ।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, এমনি সারের দাম বেশি, কীটনাশক সহ চাষ করতেই এবার অনেক খরচ হয়েছে। আসল উঠবে কিনা তাও মুশকিল। তার উপর পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ঝড়ে ধান ক্ষেত শুয়ে পড়ায় এবার চরম ক্ষতি হবে।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে সিত্রাং এর ফলে ধান ক্ষেত মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার পাশের ধান ক্ষেত শুয়ে পড়েছে। রোদ হলে আবারও ধান ক্ষেত উঠে যাবে। আমরা ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করছি।