• আজ ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  |

‘রোনাল্ডোর’ ওজন ১৭ মণ

| নিউজ রুম এডিটর ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | জুন ২৬, ২০২৩ সারাদেশ

বগুড়ার নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়নের সরিষাবাদ গ্রামের মাছচাষি আবদুর রাজ্জাক ব্রাজিল সমর্থক। তাই তার শখের ষাঁড়ের নাম রেখেছেন প্রিয় খেলোয়ার রোনাল্ডোর নামে। দর্শনীয় ও সাড়ে তিন বছর বয়সি ব্রাহমা ক্রস জাতের ছয় দাঁতের ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১৭ মণ।

এটি বিক্রির জন্য দাম চাইছেন ১২ লাখ টাকা; কিন্তু এত দাম দিয়ে কেউ কিনতে না চাওয়ায় আজও রোনাল্ডোকে বিক্রি করতে পারেননি রাজ্জাক। এখানে বিক্রি না হলে ষাঁড়টিকে ঢাকার গাবতলীর হাটে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

আবদুর রাজ্জাক জানান, ষাঁড়টি তার বাড়ির গাভির পেট থেকে জন্মগ্রহণ করেছে। সাড়ে তিন বছর আগে জন্ম নেওয়া ষাঁড়টি তিনি সন্তানের স্নেহে লালন-পালন করেন। ব্রাজিল সমর্থক হওয়ায় প্রিয় ফুটবলার রোনাল্ডোর নামে নামকরণ করেন। নিজ হাতে গোসল করানো, খাবার দেওয়া, গোয়াল ঘর পরিষ্কার করাসহ সব কাজ তিনি করেন।

আবদুর রাজ্জাক আরও জানান, রোনাল্ডোর দৈর্ঘ্য ১০ ফুট ও উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট। আদরের ষাঁড়টিকে তিনি মোটাতাজা করার জন্য কোনো ওষুধ বা খাদ্য দেননি। তাকে গম, ভুট্টা, ধান, পেয়ারা, ডার্বি, সয়াবিন, কালোজিরা, খৈল ও ভুষিসহ ১০ ধরনের গো-খাদ্যের মিশ্রণ খাওয়ান। আগে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা খাবার দিতেন। গত কয়েক বছরে এ ষাঁড়ের পেছনে তার কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন প্রতিদিন ৭০০ টাকার খাবার খাওয়াতে হয়। বর্তমানে গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় তিনি লোকসান গুনছেন।

আবদুর রাজ্জাক তার সখের রোনাল্ডোর দাম ১২ লাখ টাকা চাইছেন। তবে কেউ কিনতে চাইলে দরদাম করতে পারেন।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি নিয়মিত ষাঁড়টির দেখভাল করেছেন। ফিতা দিয়ে মেপে দেখেছেন এর ওজন ১৭ মণ। কোনো ভেজাল খাবার না দেওয়া ও লালন-পালন খরচ বেশি হওয়ার কারণে মালিক ১২ লাখ টাকা দাম চাইছেন।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্পনা রানী রায় বলেন, বুড়ইল ইউনিয়নের সরিষাবাদ গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে লালন-পালন করা ষাঁড়টি ব্রাহমা ক্রস জাতের। তার জানামতে ষাঁড়টিকে প্রাকৃতিক খাবার দেওয়া হয়েছে।