

কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি, এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (১৮ ই জুলাই) গভীররাতে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।
বিজিবি’র অধিনায়ক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে আনুমানিক ৬০০ মিটার দক্ষিণ দিকে গফুরের প্রজেক্ট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং নাজিরপাড়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বর্ণিত মাছের প্রজেক্টের আইল এবং বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলে অবস্থান নেয়।
আনুমানিক সোয়া ৩ টার দিকে টহলদল পাঁচজন ব্যক্তিকে চারটি কালো পলিথিনের ব্যাগ হাতে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ণিত স্থানের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় পূর্ব থেকেই কৌশলে অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর হতে টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা পলিথিনের ব্যাগ ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
পরে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া চারটি পলিথিনের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর থেকে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি জব্দ করে। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত এলাকায় ঘন্টা ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করতে পারেনি। তবে চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য বিজিবি’র গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলে।