• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাস্তা ছাড়তে দেড়ি করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে পেটালো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

| নিউজ রুম এডিটর ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ২৩, ২০২৩ অপরাধ-দুর্নীতি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ভ্যাকু যন্ত্র দিয়ে রাস্তার সংস্কার করছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ওই সড়ক ধরে একটি বাসে করে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতা- কর্মীরা।সে সময় ওই বাসের জন্য রাস্তা ছাড়তে দেড়ি হওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে পিটিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের চান্দেরটেক এলাকায় ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউসার খান ও তার সঙ্গী অন্য ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এ মারধর করেন। ভুক্তভুগী ব্যাক্তির নাম ফরহাদ হোসেন।তিনি এমডি কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ব্যবস্থাপক। এঘটনায় শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। স্থানীয় ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,শনিবার সকাল থেকে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের চৌধুরী রোডের চান্দেরটেক এলাকায় ভ্যাকু দিয়ে সংস্কার কাজ করা হচ্ছিলো। বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৭১১২ নাম্বার প্লেট সংযুক্ত একটি বাস ওই সড়ক ধরে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো।

বাসটি চান্দেরটেক এলাকায় এলে রাস্তার সংস্কার কাজ চলার কারণে বাসটি আটকে যায়। এসময় বাস থেকে কয়েকজন ভ্যাকু সরিয়ে তাদের বাস ছেড়ে দিতে বলে। সাইট ব্যবস্থাপক তাদেরকে দুই মিনিট অপেক্ষা করতে বলে।সে সময় কয়েকজন ব্যাক্তি বাস থেকে নেমে সাইট ব্যবস্থাপকের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায়।এক পর্যায়ে ফরহাদকে মারধর করে খালের পাড়ে কাদা পানির মধ্যে ফেলে দেয়। ভুক্তভুগী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি রাস্তার কাজ করছি। কাজের স্বার্থে দু-এক মিনিট রাস্তা বন্ধ রাখতে হয়। কাউসার খান নামে এক ব্যাক্তি তাকে সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পরিচয় দিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। সে সময় কাউসার ও তার সঙ্গে আরো ১০-১৫ জন আমাকে বেধরক পেটায়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে পানিতে ফেলে দেয়।

আমার প্রতিষ্ঠানের উর্ধতনদের সঙ্গে আলাপ করেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ করবো। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউসার খান। তিনি বলেন,শনিবার দলীয় কর্মসূচি পালন করতে ঢাকায় ছিলেন তিনি।তিনি কাউকে মারধর করেনি।এমন কোন ঘটনাও ঘটেনি। শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম রাত ৮ টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন,এ বিষয় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।