

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এহতেশামুল হক পাঠান বলেছেন, মানুষের নাগরিক অধিকার আজ ভুলুণ্ঠিত। নাগরিকের স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করার ইচ্ছা থাকলেও রাষ্ট্রযন্ত্র নামক শক্তিটি তাদের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ দিচ্ছে না। চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের মনগড়া মতবাদ। সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে যুব সমাজ এগিয়ে আসতে হবে। যুবকরাই পারে এই সকল অত্যাচারিত ও জালিমদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বাঙালি জাতিকে সামনে আলোর পথের সন্ধান দিতে।
আজ (২৭ জুলাই) বুধবার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ্ তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দলীয় সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনই সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হয় নাই। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করাই দলীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য থাকে। ভবিষ্যতেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা যায় না। ১৯৭৩, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৯১ সালে। ওই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তৎকালীন বিরোধী দল বলেছিল নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। এ অজুহাতে বিরোধীদল অনেকদিন পার্লামেন্ট বর্জন করেছিল। আবার দ্বিতীয় বার ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে ওই সময়ের বিরোধী দল বলেছিল, ভোটে স্থূল কারচুপি হয়েছে এবং তারাও লাগাতার সংসদ বর্জন করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় নাই। অতএব, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ একটি গতিশীল সংগঠন। বর্তামানে দেশের আদর্শ যুবকদের প্রধান প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। ফ্যাসিবাদী শক্তির মোকোবেলায় ইসলামী যুব আন্দোলনের জনশক্তিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
উক্ত র্যালীতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুফতী শওকত উসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম নাসির উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ শাহ পরান, প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা রশীদ আহমাদ, দাওয়াহ্ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এস এম মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান হিমেল, উপ-সম্পাদক মুহাম্মাদ রায়হানুল ইসলাম, মুহাম্মাদ কাউসার আহমেদ প্রমূখ।