আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদি এবং স্বাক্ষীরা।
নিজেদের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় পৃথক দুইটি অভিযোগও দায়ের করেছেন বাদি রোকসানা আক্তার রুবি এবং স্বাক্ষী আবুল হাসনাত চয়ন।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিন লালমনিরহাট পৌরসভার খোচাবাড়ি নজরুলটারী এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
পুলিশ ও অভিযোগে জানা গেছে, লালমনিরহাট পৌরসভার খোচাবাড়ি এলাকার মটর শ্রমিক সৌরভের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবিকে প্রায় সময় উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিন ওরফে পচা(৪২)। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ির গেটে বের হলে গৃহবধূ রোকসানাকে কু প্রস্তাব দেন। বিষয়টি জেনে তার মা লাইলী বেগম কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে পরদিন তাকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মা মেয়েকে বেধম মারপিট করেন কাউন্সিলর।
বিষয়টি নিয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ রোকসানা আক্তার রুবি। কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিন একজন মাদকসেবী উল্লেখ করে সেই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক নির্মল চন্দ্র মহন্ত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন কাউন্সিলর তুহিন।
এর জেরে গত ২৬ জুলাই ওই মামলার বাদি রোকসানা ও স্বাক্ষী আবুল হাসনাত চয়নের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালায়। এ সময় দ্রুত মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকী দেন কাউন্সিলর। এ ঘটনায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে পরদিন মামলার বাদি রোকসানা ও স্বাক্ষী আবুল হাসনাত চয়ন বাদি হয়ে সদর থানায় পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদি রোকসানা আক্তার রুবি বলেন, কাউন্সিলরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মামলা দায়ের করেছি। মামলায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জসীট দাখিল করায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে। অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকী দেন। যার সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেও বুঝা যাবে। আমরা নিরাপত্তা চাই, ন্যায় বিচার চাই।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা তাদের সকল অভিযোগই মিথ্যে। আমি কারও উপর হামলা করি নি।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, আগের মামলায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। পরবর্তিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।