• আজ ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ |

ভূতুড়ে অন্ধকার ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’

| নিউজ রুম এডিটর ৮:০৭ অপরাহ্ণ | আগস্ট ৫, ২০২৩ লালমনিরহাট, সারাদেশ

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ দিনের আলোয় চলাচল সহজ হলেও সন্ধ্যা নামতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। হেডলাইট না জ্বালিয়ে তখন যান চলাচল বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। কখনো কখনো অন্ধকারে ঘটছে দুর্ঘটনাও। প্রশাসনের টহল না থাকায় রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারে বাড়ছে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের আড্ডা। সঙ্গে ল্যাম্প পোস্টের অচল বাতির নিচে কেউ কেউ মাদক সেবন করছে। আবার কেউবা জড়িয়ে পড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপে।

এ চিত্র লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ও রংপুরের মাঝামাঝি মহিপুরে নির্মিত ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’। দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তিস্তা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সেতুটি। দিনের আলো ফুরিয়ে রাতে সেতুর বাতির নিচের অন্ধকারে সাধারণ দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিপাসু মানুষরা এখন অনেকটাই অনিরাপদ।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন নির্মিত গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। উদ্বোধনের পর থেকে এই সেতু দেখার জন্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করার মতো। রংপুর ও লালমনিরহাটের বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠে সেতুটি। মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

সরে জমিনে, রাত্রে চলাচলের সুবিধার্থে এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সেতুর ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুতে ৩৭টি ল্যামপোস্ট আছে। বর্তমান এই ৩৭টি ল্যাম্পপোস্ট অকেজো হয়ে পরে আছে। রাতের বেলা অন্ধকার হয়ে থাকছে সেতুটি। ফলে সেতু জুড়েই ভূতুড়ে অন্ধকার বিরাজ করে। প্রতি রাতেই ভয় আর শঙ্কা নিয়েই সেতু পার হতে হয় যানবাহনসহ সাধারণ পথচারীদের।

ব্রিজটি কালীগঞ্জ ও রংপুরের মাঝামাঝি অবস্থানে হওয়ায় মাদকের হটস্পট খ্যাত চন্দ্রপুরের ও রংপুরের মাদক কারবারি ব্রিজটিকে রাত্রে মাদকের নিরাপদ হাটে পরিনত করেছে।

অতিসত্বর ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করে শেখ হাসিনা মহিপুর সংযোগ সেতুর আলো ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেওয়ার দাবির পাশাপাশি পুলিশ বা আনসার বাহিনীর সার্বক্ষনিক টহল বসানোর দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারী।

কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তাহির তাহু বলেন, গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা মহিপুর সংযোগ সেতুর ল্যাম্পপোস্ট গুলো নষ্ট থাকায় রাতের আধারে রংপুর থেকে আসা মাদক সেবীরা ও কারবারিদের উপদ্রব বেড়েছে। তিনি অতিসত্বর শেখ হাসিনা সেতুর ল্যাম্পপোস্ট দাবি করেন।