• আজ ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা | বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু |

‘তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও’

| নিউজ রুম এডিটর ৮:২৯ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা গেছেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। এ ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা।

‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাদের।

মা-ছেলের মর্মান্তিক এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পপি ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করে শোক প্রকাশ করছেন। অনেকেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন।

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড পেজে লেখা ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চারপাশ, সব জায়গা খুব বেশি অচেনা লাগে এখন! টিকটক/ফ্যাশান শো/বিউটিকাম দিয়ে ছবি প্রর্দশন/রেস্টুরেন্টে পার্টি আর ফুড শো’অফের ভিড়ে নিজেকে বড় বেমানান লাগে আজকাল।

তির্যক হাস্যকর আক্রমণের তীর ছোড়াছুড়ি দেখে এখন দূরে থাকি সব কিছু থেকে। কিন্তু চাইলেই কি সব কিছু থেকে দূরে থাকা যায়! বাচ্চাটার চোখ দুইটা, আর মায়ের মুখের প্রশান্তি হাসি, বাবার মর্গের সামনের নির্বাক আহাজারি দিনটাকে বিষাদ করে দিল! খাবার স্বাদহীনতায় ভরে দিল।

কিসের বলি তারা? এ পরিবার কোনো বিরোধী দলের নেতার নয়, কোনো এমপি মন্ত্রীর না, কোনো মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরও না! তাদের আমি চিনি না, জানি না কিন্তু প্রতি মুহূর্তে অপরাধী হয়ে যাই এমন চোখের স্থির দৃষ্টিতে! ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাদের।’