• আজ ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 আবারও শুরু হচ্ছে টিসিবির ট্রাকসেল, মিলবে যেসব পণ্য | অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারা দেশে গ্রেফতার ১ হাজার ৩০৮ | বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের মাল্টিপল ভিজিট ভিসা স্থগিত করলো সৌদি আরব | ক্যারিবিয়ান সাগরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি | ব্যাংক ঋণের সুদহার ও বিদ্যুৎ বিল কমানোর দাবি | তিনবার মামলা হলে ওই গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে না | জেলেনস্কির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে দেখা করতে পারেন ট্রাম্প | দিল্লির মসনদে ফিরল বিজেপি, মোদি বললেন সুশাসনের জয় | সাঈদীর দুই ছেলেসহ পিরোজপুরের ৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা | গাজীপুরের হামলা পরিকল্পিত, নেপথ্যে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর |

‘তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও’

| নিউজ রুম এডিটর ৮:২৯ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা গেছেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। এ ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা।

‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাদের।

মা-ছেলের মর্মান্তিক এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পপি ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করে শোক প্রকাশ করছেন। অনেকেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন।

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড পেজে লেখা ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চারপাশ, সব জায়গা খুব বেশি অচেনা লাগে এখন! টিকটক/ফ্যাশান শো/বিউটিকাম দিয়ে ছবি প্রর্দশন/রেস্টুরেন্টে পার্টি আর ফুড শো’অফের ভিড়ে নিজেকে বড় বেমানান লাগে আজকাল।

তির্যক হাস্যকর আক্রমণের তীর ছোড়াছুড়ি দেখে এখন দূরে থাকি সব কিছু থেকে। কিন্তু চাইলেই কি সব কিছু থেকে দূরে থাকা যায়! বাচ্চাটার চোখ দুইটা, আর মায়ের মুখের প্রশান্তি হাসি, বাবার মর্গের সামনের নির্বাক আহাজারি দিনটাকে বিষাদ করে দিল! খাবার স্বাদহীনতায় ভরে দিল।

কিসের বলি তারা? এ পরিবার কোনো বিরোধী দলের নেতার নয়, কোনো এমপি মন্ত্রীর না, কোনো মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরও না! তাদের আমি চিনি না, জানি না কিন্তু প্রতি মুহূর্তে অপরাধী হয়ে যাই এমন চোখের স্থির দৃষ্টিতে! ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাদের।’