• আজ ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

লালমনিরহাটে ‘খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা’

| নিউজ রুম এডিটর ১২:৫১ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ লালমনিরহাট, সারাদেশ
আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ টানা ছয় দিনের শৈত্য প্রবাহের কারণে জবুথবু লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায়। সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ।
কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে আকাশ। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
জেলায় ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা বর্ণনাতীত। লক্ষাধিক ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে শীতে খুব কষ্ট ভোগ করছেন। মধ্যরাত থেকে লতা পাতা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকেই।
সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এখনো শীতার্তদের মাঝে তেমন গরম কাপড় বিতরণ করা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবি শীত নিবারণে গরম কাপড় বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবাহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, শনিবার লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সুকানদিঘী বাজারের ব্যবসায়ী ফুললাল দাস বলেন, ‘দোকানের ভেতরেও যেন ঠাণ্ডায় থাকা দায়! বাইরে তো হাড়কাঁপুনি শীত। তাই কয়েকজনকে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
সুকানদিঘী এলাকার ভ্যান চালক
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাণ্ডায় ঘুম থেকে উঠে বাজারে আসতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু কিছু করার থাকে না। কুয়াশা ভেদ করে চাদর জড়িয়ে সংসারের খরচ মেটানোর জন্য ছুটে আসি। এত ঠাণ্ডার মধ্যেও আমরা দরিদ্ররা এখনও কোনও গরম পোশাক পাইনি।’
লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ঠাণ্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।