

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে সকল দোসররা তাদের পাকিস্তানী প্রভুদের দ্বারা তৈরি করা নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। ভেবেছিল বাংলাদেশে আর কোন দেশ প্রেমিক জন্ম নেবে না। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল ছিল।
বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার বেশ কয়েক বছর পর শেখ ফেরদৌসী কাজল কাকলীর আবির্ভাব হলো ভালো লাগা থেকেই যার হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু সহ স্বপরিবারের প্রতি ভালবাসার জন্ম।
একদিন এক উঠতি বয়সের কিশোরী নাম শেখ ফেরদৌসী কাজল কাকলী সুগন্ধা পত্রিকায় একটা হেড লাইন চোখে পড়ে,
“আমিই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছি,সাহস থাকলে শেখ হাসিনা আমার বিচার করুক”
শেখ হাসিনার আগেই সেই কিশোরী সাইকেল চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনী কর্নেল ফারুকের বাসায় গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার কৈফিয়ত চেয়েছিল শেখ ফেরদৌসী কাজল কাকলী। সেদিন উচ্চ কন্ঠে বলেছিলো কেনো আমার বঙ্গবন্ধুকে মেরেছিস কেনো তুই রাসেলকে মেরেছিস। আমি যদি বেচে থাকি তোকে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলাবো।
সেদিন হত্যার কৈফিয়ত চাইতে গিয়ে পরবর্তীতে মাসুল দিতে হয়েছে তার পুরো পরিবারকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বনানীর কাকলি ‘স’ মিল সহ কাকলি হোটেল।
আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে শেখ ফেরদৌসী কাজল কাকলী বিভিন্ন সময় মিথ্যা হামলা মামলার শিকার হয়েছিলেন তবুও তিনি দমে জাননি।
এখন এলাকার আপামর জন সাধারণ মানুষের চাওয়া এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এর সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চান। তাহলে কি এবার সঠিক মূল্যায়ন পাবে শেখ ফেরদৌসী কাজল কাকলী।
তাহলে কি এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি পড়বে? এবার প্রাপ্য সম্মান পাবে কি? দেখার অপেক্ষায় এলাকাবাসী।