• আজ ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 পিএসএল খেলার ছাড়পত্র চেয়েছেন সাকিব | জাতীয় সংগীতের পক্ষে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে: রিজভী | রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কুরবানির পশুর হাট | এসি মিলানকে কাঁদিয়ে ৫১ বছর পর শিরোপা জয় বোলোগনার | ‘আতঙ্কের’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ করতে ৭ সিদ্ধান্ত | পরিবারের আপত্তিতে কবর থেকে লাশ তুলতে পারলেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  | প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | দেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের ভরসা : প্রধান উপদেষ্টা | আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র | কেন প্রকাশ্যেই ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছে ইসরাইল? |

বাড়ি ফিরলেন আহত মমতা ব্যানার্জীl

| নিউজ রুম এডিটর ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ১৫, ২০২৪ আন্তর্জাতিক, লিড নিউজ

 

কলকাতার হাজরার বাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা লাগার কারণে পড়ে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তাতেই মুখ থুবড়ে পড়েন মমতা। এতে মাথায় গভীরভাবে কেটে যায়, নাকেও চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে হাজরার বাড়িতে ফিরে যান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন তথ্যই জানিয়েছেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পরিচালক ড. মনিময় বন্দোপাধ্যায়।

মনিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ তথ্য দেওয়ার পর এখন বড় প্রশ্নের বিষয় হলো মমতা ব্যানার্জীকে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে পেছন থেকে ধাক্কা মেরেছে? তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে তার নিরাপত্তার বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি বলেন, এর অর্থ এই নয়, যে কেউ শারীরিক ধাক্কা মেরেছে। মুখ্যমন্ত্রী শেষ সময় অনুভব করেছিলেন কেউ যেন তাকে ধাক্কা মেরেছেন।

ড. মনিময় বলেন, বাড়ির পরিসরের মধ্যেই কোথাও পড়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। পেছন থেকে ধাক্কা খাওয়ার ফলে তিনি পড়ে যান। তার সেরিব্রাল কনকাশন ছিল, মস্তিষ্কে আঘাতের ফলে তার কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। তাই কপালের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কপালে তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই লেগেছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান, মেডিসিন এবং কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছেন। ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করানো হয়। ইসিজি, সিটিস্ক্যানসহ বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। রাতে তাকে হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরে যেতে চান। রাতেই তাকে হাসপাতাল থেকে হাজরার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতস্থানের চিকিৎসার পর তাকে হুইল চেয়ারে করে এসএসকেএম হাসপাতালে লাগোয়া বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের ওপিডি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সিটিস্ক্যানসহ একাধিক পরীক্ষা করা হয়। মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় গাড়িতে করে হাজরার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।