মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু উত্তরা ঢাকা।।
খিলক্ষেতে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে বাসার ছাদে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মো. মাহাদী (২২) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১।
আজ শনিবার বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরগাঁও গ্রামের সওমত হাসানের ছেলে। গণধর্ষণের পর থেকে তিনি নিজেকে আত্মগোপনে রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াতেন।
এর আগে খিলক্ষেতের টানাপাড়ার আহম্মদ মোক্তাদির আরিফ ওরফে সুমনের বাড়ির ছাদে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর দিন ভুক্তভোগী তরুণীর বড় বোন বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২৩) ও সানিকে (২১) আসামি করে মামলা করেন। পরে ভাটারার কুড়িল চৌরাস্তা থেকে গত ১৬ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে গালিফকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই তরুণী একটি জুতার কারখানায় কাজের সময় জনৈক মিরাজের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। যার কারণে সানির সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তরুণীর হোয়াটএ্যাপ নম্বরে মিরাজের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেন সানি।’
মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ভয়ভীতির ব্যাপারে তরুণীকে সানির সঙ্গে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে খিলক্ষেতে ডাকেন মাহাদী। যার কারণে ওই দিন বিকেলে খিলক্ষেতের রাজউক মার্কেটের সামনে যায় ওই তরুণী। তখন সেখানে উপস্থিত তানভীর (২২) ও গালিফ (২২) মাহাদীকে বলে-তোর কাজ শেষ, তুই চলে যা। মাহাদী চলে গেলে তানভীর ও গালিফ তরুণীকে জোরপূর্বক একটি রিকশায় করে তানভীরের টানপাড়া বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাড়ির পঞ্চম তলার ছাদে নিয়ে তানভীর ও গালিফ ওই তরুণীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের জন্য জবরদস্তি করে। তাতে রাজি না হলে ধর্ষণ করে।’
মো. মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর বড় বোন বাদী হয়ে তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২৩) ও সানির (২১) বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গালিফের পর মাহাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।