আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কেন্দ্রের বাইরে দায়িত্বে রয়েছেন। কেন্দ্রের কিছু দূরে কর্মীরা ভোটারদের জন্য অপেক্ষা করছেন। ভেতরে ভোটারদের অপেক্ষায় আছেন প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টরা। কিন্তু যাদের জন্য এতো সব আয়োজন, সেই ভোটারদের দেখা নেই। অর্থাৎ ভোটকেন্দ্র একেবারেই ফাঁকা।
মঙ্গলবার (২১মে) সকাল ৮টা থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে লালমনিরহাটের আদিতমারী ও কালীগঞ্জ দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তার ছোট ভাই সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদের মধ্যেই। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন তারিকুল ইসলাম তুষার। এবারের ভোটযুদ্ধে আপন চাচা-ভাতিজার মধ্যে বাঘের সিং ন্যায় লড়াইয়ের হতে পারে বলে দাবি সাধারণ ভোটারদের।
বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কোনো ভোটারই ছিল না। তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ধারণা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লৎফর কবির বলেন, এসব ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম ও স্পেশাল চেকপোস্ট। এছাড়া দুই উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।