• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন

 

 

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবন উপকূলসহ মোংলায় ১০ নম্বর বিপৎসংকেত বহাল রয়েছে। এরইমধ্যে বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। জলোচ্ছ্বাসে পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে পুরো সুন্দরবন।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ওসি আজাদ কবির সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পানি বেড়ে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে। পানির চাপ আরও বাড়বে। তবে বণ্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পুরো সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা বনরক্ষীদের এরইমধ্যে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান পৌরমেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, ঝুঁকি এড়াতে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি কাজ ও রোগীদের কথা চিন্তা করে মোংলা নদীতে ফেরি চালু রাখা হয়েছে। পৌর শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনকে আনার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আজ সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবন ও মোংলা উপকূল অতিক্রম করে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় আছড়ে পড়বে।