সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখানে সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুত্বর আহত ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। হামলার শিকার সাংবাদিক আরিফ হোসেন হারিছ দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার সিরাজদিখান প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন৷ এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরিফ হোসেন হারিছ।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আরিফ হোসেন হারিছ রবিবার দুপুর অনুমান ১ টার দিকে তার বসতবাড়ি থেকে বের হয়ে নতুন ভাষানচর ব্রিজের উপর পৌছামাত্র পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী মোতাহার হোসেনসহ তার সন্ত্রাসী বাহীনির অন্যান্য সদস্যরা তার পথরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছন দিক থেকে এলোপাথাড়ী ভাবে কিল ঘুষি লাথি মেরে তাকে নতুন ভাষানচর মীর বাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে নিয়ে সন্ত্রাসী মোতাহার হোসেন ও তার লোকজন সাংবাদিক আরিফ হোসেন হারিছকে মধ্যযুুগী কায়দায় মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নিলাফুলা জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক হোসেন হারিস বলেন,আমি বেশ কয়েকদিন আগে ভাষানচর গ্রামের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীরা জামিনে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনন্দ উল্লাস করে।এনিয়ে আমি তাদের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করি। সংবাদ প্রকাশের জেরে বেশ কয়েকদিন যাবৎ তারা আমাকে নানা ভাবে মারধরের হুমকি দিয়ে আসছিলো। আজকে দুপুরে আমি বাড়ী থেকে বের হয়ে ভাষানচর ব্রীজের উপর পৌছা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মোতাহার হোসেনসহ তার লোকজন আমার পথরোধ করে আমাকে তাদের বাড়ীতে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ী ভাবে মারধর করে। মারধরের সময় তারা আমার মোবাইল ফোন মানিব্যাগ টাকা পয়সা সব নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠায়।আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ঘটনার সাথে বালুচরে মোল্লাকান্দি বালুচরের নামধারী এক সাংবাদিক ইন্দন দিয়েছে। তাকেও অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে। আমি এর যথাযথ বিচার চাই এবং তাদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবী জানাই।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।