• আজ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 তৃতীয় দিনেও অনড় জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, জুমার পর আবারও উত্তাল কাকরাইল | ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ করল চাকা খুলে যাওয়া বিমান, রানওয়ে বন্ধ | পিএসএল খেলার ছাড়পত্র চেয়েছেন সাকিব | জাতীয় সংগীতের পক্ষে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে: রিজভী | রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কুরবানির পশুর হাট | এসি মিলানকে কাঁদিয়ে ৫১ বছর পর শিরোপা জয় বোলোগনার | ‘আতঙ্কের’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ করতে ৭ সিদ্ধান্ত | পরিবারের আপত্তিতে কবর থেকে লাশ তুলতে পারলেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  | প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | দেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের ভরসা : প্রধান উপদেষ্টা |

বিরতির পর ভোর থেকে আবারও ভাঙা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়

| নিউজ রুম এডিটর ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫ বাংলাদেশ, রাজনীতি, লিড নিউজ

 

৫ আগস্ট আর ১৫ আগস্টের পর দেশবাসী ছাত্র-জনতার উন্মাদনামুখর আরেকটি রাত দেখলো। লাইভে শেখ হাসিনার কথা বলার ঘোষণা আসার পরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা গুঁড়িয়ে ফেলা নিয়ে সরব হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। রাতেই ছাত্র-জনতার ব্যানারে লংমার্চ টু ধানমন্ডি ৩২ কর্মসূচি নেয়া হয়। এরপরই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো এলাকা।

ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও যেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্যই এই অবস্থান জানিয়েছেন বিক্ষুদ্ধরা। এদিকে, আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবন ধানমন্ডি ৫ নম্বরের সুধাসদনেও আগুন দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা রাত নয়টায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন। তখনই ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার প্রসঙ্গে সরগরম হয়ে ওঠে ফেসবুক। তবে সন্ধ্যা থেকেই বাড়তে থাকে ছাত্র-জনতার ভিড়। শাহবাগ থেকে একটি মিছিল এগোতে থাকে ধানমন্ডির দিকে। এ সময় অনেককে উল্লাস করতেও দেখা যায়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসে হাজার হাজার মানুষ।

সব স্থাপনা ভাঙতে বুলডোজারের অপেক্ষায় ছিল মানুষ। পরে রাত পৌনে এগারোটার দিকে শুরু হয় ক্রেন আর বুলডোজারের কার্যক্রম। ভাঙা শুরু হয় ৩২ নম্বরের বাড়িটি। ভাঙার কার্যক্রম চলেরাতভর। এরপর দীর্ঘসময় বিরতি দিয়ে ভোর থেকে আবারও শুরু হয়েছে বাড়ি ভাঙার কার্যক্রম।

এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ একজন বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই ক্ষোভ। তাদেরকে বলে দিতে চাই দেশের জনগণ আরও ফ্যাসিবাদকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেবে না। তারা যতই লম্ফঝম্ফ করুক, তাদেরকে প্রতিহত করতে ছাত্রসমাজ রাস্তায় রয়েছে।

আরেকজন বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের প্রতীক ধ্বংস করছি আমরা। এই বাসভবন থেকেই বাকশাল গঠনের ঘোষণা এসেছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সবাইকে আমরা বার্তা দিতে চাই, যারাই ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ হয়ে উঠবে তাদের পরিণতিও একই হবে।