

পিপলস নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশক নাজমা সুলতানা নীলা এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে ৭ম সমাবর্তনে মাস্টার্স এর জন্য গ্রাজুয়েট সম্মান পেয়ে নিজের অনুভুতির কথা প্রকাশ করেন:
স্টাফ রিপোর্টার : সমাবর্তন মানে একসঙ্গে মিলিত হওয়া, সমাবর্তন মানে বিদায়ী বেদনার মুহূর্ত, সমাবর্তন মানে শিক্ষাজীবনের অর্জনের স্বীকৃতি প্রাপ্তির দিন। সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী হন যার ফলে সবার এই বাঁধভাঙা আনন্দ।
কে কত রকমভাবে তাদের আনন্দ অন্যকে জানান দিতে পারে, সে মহোৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। দেখা যায়, বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই সময়ে শেষবারের মতো স্মৃতি ধারণ করতে।
যে স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তার নিজেদের হৃদয়ে ধারণ করে সেটার পূর্ণতার প্রাপ্তি ঘটে সমাবর্তনে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই প্রতিনিয়ত নতুনভাবে চিনতে শেখায়, নতুনভাবে নিজেকে জানতে শেখায় এবং নতুনভাবে সৃষ্টি করতে শেখায়।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ আমার প্রাণ যেটা আমাকে বাঁচতে শেখায়, নিজেকে নতুন করে সৃষ্টি করতে শেখায়।
সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একটা অর্জন। আর এই অর্জন গৌরবের। এখানে যেদিন এসেছিলাম সেদিন কিছুই নিয়ে আসিনি, কিন্তু আজকে আমি অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে হাজারও প্রস্তুতি, মুখোরিত এই এইউবি হাজারও নতুন পুরোনো ছাত্রছাত্রীর মেলা যেন আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাসকে আরও রঙিন ও সুন্দর করে তুলেছে। আমাদের এই সমাবর্তন এমন এক সমাবর্তন ছিল যেখানে বন্ধু-বান্ধব শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন, যা ছিল আমাদের জন্য অনেক আনন্দের, গৌরবের ও ভালো লাগার। এইউবি আজ আমাদের প্রত্যেক গ্র্যাজুয়েটকে এভাবে সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে সামনে আরও এগিয়ে যাবার সাহস ও প্রত্যয় দিয়ে গেল। এবারে এইউবিতে সপ্তম সমাবর্তন সম্পন্ন হলো। আশা করছি, সামনে আরও বহু সমাবর্তনে বহু নতুন যোগ্য গ্র্যাজুয়েট বের হয়ে বাংলাদেশকে সেবার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলবে।
পরিশেষে একটা কথা বলি এই সম্মান শুধু আমার একার নয় এটা আমার বাবা মা সহ আমার ছেলে মেয়ে স্বামী বন্ধু বান্ধব সকলের। আমিও আমার আনন্দটা সবার সাথে ভাগ করেছি। সত্যিকারের গ্রাজুয়েট তো তারা যারা আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে, যাদের অনুপ্রেরণা সেক্রিফাইস আজ আমাকে গ্রাজুয়েট হতে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। ধন্যবাদ জানাই প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ড. আবুল হাসান এম সাদেক স্যার সহ প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টের প্রধান কে।