

জাগো, হে নিদ্রামগ্ন! সময়ের চক্র রুদ্ধপ্রায়,
ধূলির বুক কাঁপে, বাতাসে রহস্যময় সিঁথি চায়।
সাগরের গর্জনে লুকিয়ে আছে এক শীতল শ্বাস,
অদৃশ্য ছায়ায় দুলছে ধ্বংসের নিঃশব্দ উচ্চবাস।
তোমরা কি শোনোনি? সময়ের অশনি বাজে,
ফিরিশতারা দাঁড়িয়ে মহাকালের সাঁঝে!
দিগন্তের অন্ধকারে ফিসফিসিয়ে ওঠে আরোহী,
একচোখা রাজা, মিথ্যার মহাদ্রোহী!
সে আসবে, সে আসবেই—বাতাসে গুঞ্জন,
সে সোনার প্রাসাদে বসাবে শয়তানের সিংহাসন।
তার করতলে শোভিত দুই মায়ার চিত্র,
এক হাতে স্বর্গ, এক হাতে নরকের যন্ত্র।
কিন্তু শোনো, হে মোমেন! তার জান্নাত জ্বলন্ত অগ্নি,
তার দোজখ স্নিগ্ধ প্রশান্তি!
সে বলবে, “আমি জীবনদাতা,”
কিন্তু সে জীবনের শত্রু, ঈমানের নিকষ ঘাতক- মহাভ্রান্তি!
“তার কপালে খোদিত ‘কাফির’ নাম,
যা পাঠ করবে ঈমানদার প্রাণ!”
(সহিহ মুসলিম: ২৯৩৩)
আকাশের তারকা রাজিও একদিন হারাবে জ্যোতি,
পাহাড়ের শিখরে নেমে আসবে ধূলোয় ভরা- প্রলয় ক্ষতি।
তোমরা কি ভাবো, পৃথিবী থাকবে চিরসবুজে চিত্রিত?
হে ভ্রান্ত মানব! বিপর্যয় যে অবধারিত!
“তোমরা কি বিশ্বাস করোনি?
ফিতনার ছায়া যখন নেমে আসে, তখন মিথ্যা সত্যরূপ ধরে,
অধর্ম ভাসে ধর্মের ভাষায় ভরে!”
(সুরা আন’আম: ১৫৮)
তার তৃষ্ণায় মরুভূমিও শুকিয়ে যাবে, বেলা অবেলায়,
শস্যদানা রূপ নেবে কালো শিলায়।
সে বলবে, “আমার কাছে আছে অমৃত জল!”
কিন্তু সে হবিষ্য ভরা বিষাক্ত ছল!
ওহে সত্যের সৈনিক! ওহে ঈমানের প্রহরী!
তুমি কি দাজ্জালের মায়ায় বিভ্রান্ত হবে?
সে সিংহাসনে বসে আছে অন্ধকারের রাজা, ক্ষনিকের রাজবাড়ি,
কিন্তু তুমিই আল্লাহর নূরের তলোয়ারধারী!
“তোমরা সুরা কাহফ পাঠ করো,
তাহলে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে!”
(সহিহ মুসলিম: ৮০৯)
সে স্বর্ণের প্রতিমা গড়বে,
তুমি কি সেজদায় ঝুঁকে পড়বে?
না, তুমি দাঁড়াবে, তুমি লড়বে!
তুমি আল্লাহর বান্দা, তুমি নত হবে না!
একদিন তার মিথ্যা মাটিতে মিশে যাবে,
আকাশের বজ্রনিনাদ সে সহ্য করতে পারবে না!
মহাসংঘাতে নেমে আসবে সত্যের আলো,
নূহের প্লাবন, মুসার লাঠি, ইসার শ্বাস!
“সত্য এসেছে, মিথ্যা বিলীন হয়েছে,
নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলীন হবার জন্যই জন্মে!”
(সুরা আল-ইসরাঃ ৮১)
দাজ্জালের পতন হবে জমিনের ধুলোর পরে,
তার ধোঁকা ভেসে যাবে মহাসমুদ্রের গহ্বরে।
মোমেনদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হবে এক মহাবাণী—
“আল্লাহই চিরঞ্জীব, আল্লাহই চিরসত্য,আল্লাহই মহাজ্ঞানী”
এ্যাস্ট্রোলোজার ছালাম শিকদার
পটুয়াখালী
১৯/৩/২০৫ খ্রিষ্টাব্দ
কপিরাইট সংরক্ষিত