

কে এম শাকীর,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ভিজিডিভোগীর কাছ থেকে জোরপূর্বক হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান। বিষয়টি জানার পরেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে,২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সুবিধাভোগীদের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারী হতে জুন পর্যন্ত ৬ কোটার চাল বরাদ্দ আসে ২২-২৩ অর্থ বছরের সুবিধাভোগী চক্রদের জন্য। সেই বিষয়কে কাজে লাগিয়ে রণচণ্ডী ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা সুবিধাভোগীদের বাড়ীতে গিয়ে ১৫শ থেকে ২ হাজার করে টাকা নিয়ে তাদের কার্ড তাদের মাঝে বিতরণ করেছে। রণচণ্ডী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাফলা গ্রামের সুবিধাভোগী আবু মোতালেবের স্ত্রী গোলাপী বেগম,আরিফুজ্জামানের স্ত্রী সুমি বেগম,রাকিবুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া আক্তার,আমজাদ হোসেনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম,আমিনুর রহমানের স্ত্রী আনিছা বেগম বলেন ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান আমাদের কার্ড আটক রেখে দেড় হাজার করে টাকা নেয়ার পর আমাদের কার্ড আমাকে দিয়েছে। টাকা না দেয়া পর্যন্ত ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান আমাদের কার্ড দেয়নি। তবে রণচণ্ডী ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অনেক সুবিধাভোগী জানিয়েছে। রণচণ্ডী ইউনিয়নে মোট সুবিধাভোগী ৩৬৫ জন বলে জানিয়েছেন ইউপি পরিষদের সচিব মোকছেদুল ইসলাম।
রণচণ্ডী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়ে বলেন,আমার ওয়ার্ডে কেউ অভিযোগ দিতে পারবে না।
৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মাহফুজার রহমান বলেন,আমি কারো কাছে টাকা নেইনি। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করতে এসব অভিযোগ তুলেছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহাজাদী বলেন,আমরা তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হক বলেন, এ রকম অভিযোগ আমি শুনেছি,কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।
কেএম শাকির
নীলফামারী প্রতিনিধি।