• আজ ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা | বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু |

সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত

| নিউজ রুম এডিটর ৬:০২ পূর্বাহ্ণ | জুন ২৪, ২০২৫ আইন ও আদালত, সিলেট

সিলেট।।সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আবু সাঈদ (৩২) নামে এক যুবক বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিসহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় উভয় পক্ষ অস্ত্র প্রদর্শন করে।

এ ঘটনায় রোববার বিকালে সেনাবাহিনীর ৫৭ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের শান্তিগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে অবৈধ অস্ত্র জব্দ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে হাতিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে দুর্গম হাওর পথে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেনাবাহিনী সদস্যরা ওই গ্রামে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি বন্ধ হলে আবু সাঈদের লাশ দেখতে পান গ্রামবাসী।

শান্তিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের এক দায়িত্বশীল সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘গোলাগুলির পর একাধিক সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও রোববার রাতে সোমবার সকালে চার সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে একটি ১ নলা বন্দুক, চারটি পাইপ গান সহ ৫টি আগ্নেয়ান্ত্র, ১টি রাউন্ড বন্দুকের গুলি, গুলির খোসা,৭টি রামদা, ৯টি বল্লম সহ দেশীয় অস্ত্র, ৬টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ২টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়। ’

এদিকে, আবু সাঈদ কি কারণে ওই রাতে গাদালিয়া গ্রামে কেন গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি। কোন পক্ষের গুলিতে তিনি মারা গেছেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে অভিযানে থাকা সেনাবাহিনী দায়িত্বশীল অফিসার জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আবু সাঈদ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীর ১৭ পদাধিক ডিভিশনের ( গ্রেড-ওয়ান) লে.কর্নেল পদ মর্যাদা’র অপারেশনাল অফিসার ৫৭ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের শান্তিগঞ্জ ক্যাম্পের সেনা অভিযানের বরাত দিয়ে জানান, রোববার রাতে শুরু হওয়া অভিযান সোমবার সমাপ্ত হওয়ার পর জব্দকৃত অস্ত্রগুলোসহ গ্রেফতারকৃতদের জগন্নাথপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধায় জগন্নাথপুর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞ। জানান, নিহত আবু সাঈদের মরদেহ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অস্ত্র জব্দের ঘটনায় একটি ও আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে।