• আজ ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান : নাহিদ ইসলাম | আগামী নির্বাচনে অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ হুমকি এআই: সিইসি | ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির আহ্বান ২২০ ব্রিটিশ এমপির, চাপ বাড়ছে স্টারমারের ওপর | গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ৫ | সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ স্পষ্ট : ভিপি নুর | দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন ঘোষণা দিয়ে পিছু হটল আ. লীগ | ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না’ | রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই কেউ | বিমান বিধ্বস্ত ঢাকায় এসেছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল | ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা : হাসনাত আবদুল্লাহ |

ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু; দ্রুত তদন্তের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মৌন অবস্থান

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৪৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৮, ২০২৫ শিক্ষাঙ্গন

 

ইবি প্রতিনিধি: সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মৌন অবস্থান কর্মসূচি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মুখে কালো কাপড় বেধে এ কর্মসূচি করেন তারা।

এসময় ‘হইছে তো তোমরা আবেগী হইয়ো না’, ‘লন্ডন ট্যুর কেমন হলো স্যার, নেক্সট ট্যুর কোথায়?’ ‘লাশ ভাসার দশদিন পরে আসার জন্য ধন্যবাদ স্যার’, ‘মাছের বেলায় সবাই সই লাশ পরলে ভিসি কই’, ‘তদন্তের অগ্রগতি কতদুর স্যার’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ পরে প্রশাসন কি করে’, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চাই’, ‘প্রশাসনের প্রহসন মানি না মানবো না’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্লাকার্ড হাতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ইবি পরিবারের একজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আজ ১১তম দিনে এসেও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন তালবাহানা দেখছি। এর রহস্য উদঘাটনে তাদের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। তাই শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা অনিরাপত্তায় ভুগছি। এই হত্যার পেছনের লুকানো ঘটনা ও তার হত্যাকারীদের খুজে বের করার জন্য প্রশাসন কোনো কাজ করছে না। এটা আমাদের হতাশ করছে। তাদের ব্যর্থতা আমাদের শঙ্কিত করছে। এই হত্যাকারীদের এখনই বিচার না করলে তারা আরো সুযোগ পেয়ে যাবে। তাই সাজিদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।

তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ২৪ এর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পদে বসানো হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে তার যথেষ্ট কনসার্ন আমরা দেখছি না। আমরা জানিনা উপাচার্য এ বিষয়ে নিয়ে কি কাজ করছে। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরাই তাদের বসিয়েছি যেন একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস উপহার দিতে পারে। কিন্তু তারা আমাদের হতাশ করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিরে যাবো না। এর বিচার না হলে আমরা কেউ ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া এর আগেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবন ও প্রধান ফটক অবরোধ করে কয়েকদফা আন্দোলন করেছেন।