• আজ ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইইবি কর্তৃক স্বীকৃত ইঞ্জিনিয়ার না হয়েও “ইঞ্জিনিয়ার” পরিচয়ে ডিজাইন ও নকশা প্রণয়ন করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

| নিউজ রুম এডিটর ৫:০১ অপরাহ্ণ | জুন ১৮, ২০২৩ সারাদেশ

ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) কর্তৃক স্বীকৃত সদস্য নন অথচ নিজেদের পরিচয় দেন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে “ইঞ্জিনিয়ার” নাম পরিচয় ব্যবহারকারী দুই নামধারী ইঞ্জিনিয়ারের সন্ধান মিলেছে। কোন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী না নিয়ে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সদস্য না হয়েও নিজেদের নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার বসিয়ে জমির মালিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নকশা প্রণয়ন ও বিল্ডিংয়ের ডিজাইন করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০৮ সালের প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে Building Construction Act, 1952 ও 1953 এর section ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ সংক্রান্ত বিধিমালা, ২০০৮ জারি করে। জারিকৃত বিধিমালার ৪১ নং ক্রমিকে বলা হয় কাউকে কৌশলী হতে হলে তাকে প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীপ্রাপ্ত ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) এর কর্তৃক স্বীকৃত সদস্য হতে হবে।

অথচ অভিযুক্ত সাদ্দাম ও সোহেল নামে দুই ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন কর্তৃক স্বীকৃত কোন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিগ্রিধারী নন এবং নকশা প্রণয়নের জন্য কারিগরি ব্যক্তি হিসেবে তারা তালিকাভুক্ত না হয়েও দেদারসে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে সিরাজদিখান উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন কর্তৃক তালিকাভুক্ত প্রকৌশলীরা পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এদিকে ডিজাইন করার জন্য অযোগ্য নামধারী প্রকৌশলী চিহ্নিত করণ ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইন্সটিটিউশন কর্তৃক তালিকাভুক্ত প্রকৌশলীরা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত সাদ্দাম ও সোহেল উপজেলার সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের কাঠপট্টি নামক স্থানে অবস্থিত আলমগীর কমপ্লেক্সের নীচতলায় পদ্মা আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিরিয়ারিং নামে একটি অফিস খুলে বসেছেন। অফিস নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার নাম ব্যবহার করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে জানা যায়, কিছু মিস্ত্রি ও কনট্রাক্টরদের হাতে রেখে মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে সাধারণ জমির মালিকদের বিল্ডিং ও নকশা প্রণয়ন করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মর্মে বেশ কয়েকটি গোপন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ব্যপারে অভিযুক্ত নামধারী ইঞ্জিনিয়ার সাদ্দাম ও সোহেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাদ্দাম মুঠোফোনে বলেন, আপনি উপজেলা গিয়ে আমাদের সব কিছু পেয়ে যাবেন।

আমরা বুয়েট থেকে বিএসসি করা ইঞ্জিনিয়ার অনুপম সরকারের কাজ করি। আমাদের চারজনের একটি টিম আছে আমরা চার জনের টিম নিয়ে তার কাজগুলোই করি। আপনি তার সহযোগী বলেন আর ছোট ভাই বলেন তাতে কোন সমস্যা নাই। যেহেতু আপনারা ইঞ্জিনিয়ার অনুপম সরকারের কাজ টিমের মাধ্যমে করেন তাহলে আপনারা ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে ইঞ্জিনিয়ারের কাজ কিভাবে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারলে এক পর্যায়ে তার কাছে ইঞ্জিনিয়ার অনুপম সরকারের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি নাম্বার দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন আপনি যা পারেন করেন। নিউজ করলে করেন আমি আপনাকে কোন তথ্য দিতে পারবো না। এ ব্যপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোঃ মোনায়েম মুঠোফোনে বলেন, যদি কেউ প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীপ্রাপ্ত ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) কর্তৃক স্বীকৃত সদস্য না হয়ে ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে কাজ করে তাহলে সেটা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অর্থাৎ ইউএনও বা এসিল্যান্ড তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।