

ভোটকেন্দ্র খুঁজতে আর বুথে যেতে হবে না। ভোটারদের এই কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছেন কয়েকজন প্রার্থী। কিউআর কোড স্ক্যান করেই সঙ্গে সঙ্গে জেনে নেয়া যাবে কার কেন্দ্র কোথায়। নতুন এই প্রযুক্তির ব্যবহারকে স্বগত জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
আর ভোটকেন্দ্রের পাশে বুথে বুথে লাইন নয়। এবার যেকোনো জায়গায় বসেই জানা যাবে কার কেন্দ্র কোথায়। ভোটের দিন কার কেন্দ্র কোথায় তা জানতে এতদিন তাকিয়ে থাকে হতো প্রার্থীদের স্লিপের ওপর। কেউ সেই স্লিপ না পেলে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রের আশপাশে থাকা প্রার্থীর বুথ থেকে নেয়া হতো তথ্য।
তবে এবার সেই কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থীই নাম লিখিয়েছেন আধুনিক এই প্রযুক্তি নির্ভর কিউআর কোড এ। ঢাকা-১৫ আসনে নৌকার প্রার্থী এরই মধ্যে নির্বাচনী অফিস থেকে দিচ্ছেন কিউআর কোডের স্লিপ। নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে নিমিষেই জানা যাবে ভোটকেন্দ্রের তথ্য।
পদ্ধতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানান, কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে কিংবা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে চাহিত তথ্যাদি দিলেই জানা যাবে ভোটকেন্দ্রের তথ্য।
কিউআর কোড সংগ্রহ করেছেন এমন কয়েকজন ভোটার জানান, এটা আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। স্ক্যান করলেই ওয়েব পেজ চলে আসে, সেখানে তথ্য পূরণ করলেই ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানা যাচ্ছে।
নতুন এই পদ্ধতিতে পরিচিত হতে পেরে খুশি ভোটাররাও বলছেন এতে করে সহজ হবে তাদের ভোটদানের প্রক্রিয়া। বাঁচবে সময়ও।
ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটে আনতে এই কৌশল কাজে দিবে বলেই মনে করছেন প্রার্থীরা। তাছাড়া চাইলে ৩০০ আসনে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা সকলেই যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে ভোটাররা সহজেই সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের পোস্টারেও ছাপিয়েছেন কিউআরকোড। স্মার্টফোনের এক ক্লিকেই জানা যাবে কোথায় কার ভোটকেন্দ্র।