• আজ ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা |

কালীগঞ্জে মৎস্য প্রজেক্টে লাউ চাষে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন কৃষক মেহেদীর

| নিউজ রুম এডিটর ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪ লালমনিরহাট, সারাদেশ
আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ মৎস্য চাষী কৃষক মেহেদী হাসান মধু। পড়ালেখা শেষ করে কয়েক বছর চাকরির পিছনে না ছুটে মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ৭০ শতাংশ জমিতে মাছের ঘের তৈরি করে আধুনিক পন্থায় মাছ চাষ করছেন। এ বছর কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী মৎস্য প্রজেক্টের চারপাশে বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি চাষ করার পাশাপাশি পানির উপর মাচাঙ ভেলা তৈরি করে থাই জাতের লাউ কিং ময়না ও ডায়না চাষ করেছেন।
মৎস চাষী মেহেদী হাসান মধু লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শ্রুতিধর গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।
৭০ শতাংশ জমির মাছের ঘেরের উপর লাউ চাষ করতে মেহেদী ব্যায় করেছেন পঁচিশ হাজার টাকা। এখন প্রতি সপ্তাহে ১০০ থেকে ১৫০ পিস লাউ বিক্রি করছেন তিনি। যার বর্তমান পাইকারি মূল্য প্রতিপিস আকার ভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
জেলায় মৎস প্রজেক্টে বা পুকুরের পাড়ে সবজি চাষ করা স্বাভাবিক হলেও পানির উপর মাচাঙ বা ভেলা তৈরি করে সবজি চাষ করা এবারই প্রথম। কৃষক মেহেদী পানির উপর ভেলা তৈরি করে লাউ চাষ করতে রাজি ছিল না। কিন্তু কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করে এখন বাম্পার ফলন পাওয়ার তিনি খুশি। তার এমন চাষ দেখে এলাকার আরও অনেকে পুকুর পাড়ে লাউ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
মেহেদী হাসান মধু বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় লাউ চাষ করছি। লাউ চাষ করতে গেলে তার আরেকটি জমি প্রয়োজন হতো কিন্তু তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে মাছের ঘেরের পানির উপর থাইকিন জাতের পানি সহিষ্ণু লাউ চাষ করায় আর বাড়তি কোনো জমির প্রয়োজন হয়নি। প্রতি সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার আসল টাকা তুলেছেন।
কৃষক মধু আশা করছেন ভাসমান এই লাউ বাগান থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করবেন। তার মাচাঙ বা ভেলায় লাউ চাষের সফলতা দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ পদ্ধতির।
ভোটমারী ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত আধুনিক পদ্ধতিতে একই জমিতে একাধিক ফসল চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকরা যাতে অনাবাদি পতিত এক ফসলা জমিতে সবজিসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে স্বাবলম্বী হতে পারে এ জন্য ট্রেনিং দিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করার ব্যবস্থাও আছে আমাদের এখানে।