• আজ ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

ইবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে স্বৈরাচারের দোসরদের সুযোগ না দেওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি 

| নিউজ রুম এডিটর ৫:২৮ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ শিক্ষাঙ্গন

মানিক হোসেন, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যেকোনো প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনে স্বৈরাচারের দোসরদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়াসহ ৩ দফা দাবিতে স্বারকলিপি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিল বের সংগঠনটি। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা উপাচার্যে কার্যালয়ে গিয়ে তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ফ্যাসিবাদের দোসরদের জায়গা না দেওয়া ও  ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বৈরাচারের দোসর ও তাদের সহযোগীদের বিচার নিশ্চিত করা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে প্রকাশ্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি পক্ষ। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনসহ ৪ আগস্ট ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। সেখান থেকে তারা নিজেদেরকে ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কর্মী’ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন প্রতিরোধ ও আন্দোলনকারীদের উপর প্রতিশোধের ঘোষণা দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণহত্যাকারী সরকারের বিচার শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচারের দোসর ও সহযোগীদের তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরিত হয়েছে। এই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কোন প্রশাসনিক দায়িত্বে ছাত্র সমাজ কোনভাবেই মেনে নিবে না। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদের দোসররা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ খুঁজছে৷ তাদেরকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্র-সমাজ কোনভাবেই মেনে নেবে না। এই নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের নামান্তর। যা জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক এবং জুলাই বিপ্লবকে অবমাননার শামিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা ২৪ এর জুলাইয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে  ছাত্র-জনতার কাতারে অংশ নিয়েছি। যে আন্দোলনে অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী ও ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারী আওয়ামী সরকার বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হয়। ছাত্র-জনতার উপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার যখন নির্বিচার গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছিল তখন দেশের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাদের নেতাকর্মী ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা সহযোগিতা করে ও ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি পক্ষ স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে প্রকাশ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনসহ ৪ আগস্ট ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই মিছিল করা শিক্ষক কর্মকর্তারা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এজন্য তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মকান্ড চলমান দেশবিরোধী চক্রান্তের অংশ কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদের দোসররা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ খুঁজছে৷ তাদেরকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্র-সমাজ কোনভাবেই মেনে নিবে না।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো আমাদেরও প্রত্যাশার দাবি। তোমাদের পক্ষ থেকে এরূপ দাবি আশায় তোমরা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তোমরা তোমাদের দাবি উত্থাপন করেছো। এখন প্রশাসন থেকে সামর্থ্যনুযায়ী আমরা কাজ করে যাবো।