

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বিভা যবে
আঁধার চিরে আলো ফুটিল,
ধরণী মায়ের মুখটা হাসিল।
সৃষ্টির আদিতে নর এল আগে,
তবে নারী না থাকলে, কীসে চলে?
নারীই মহিমা, নারীই আলো,
তারি গর্বে সভ্যতা পেলো।
তারি হাতে নবীন প্রাণ,
তারি কোলে গড়ে বর্ণবান!
সে-ই যে ধরণীর প্রথম কিরণ,
সে-ই যে সৌরভে ভরায় ভুবন।
তারি মায়ায় হাসে দিগন্ত ক্রান্তি,
তারি ছোঁয়ায় বিশ্ব প্রগতি।
সে-ই যে আশ্রয়, সে-ই যে মাটি,
তারি বুকে শিশু হাসে খুঁটি!
সে-ই যে বোন, সে-ই যে মা,
সে-ই যে বর্ণিল ভালোবাসা!
সে হাসিলে, উঠিল দিন,
সে কাঁদিলে, ঝরিল বিন।
তারি ত্যাগে বাঁচে বিশ্ব জীবন,
তারি ধৈর্যে গড়ে ভবিষ্যৎ অঙ্গন!
সে-ই যে সৃষ্টির মূল উপাখ্যান,
সে-ই যে অমৃত, সে-ই যে গান।
তারি কোলে আসিলে নবীন,
তারি হাতে মহাশান্তি লীন!
সে-ই যে শপথ, সে-ই যে ঢাল,
সে বজ্রবরণীর অগ্নি জ্বাল।
সে-ই যে মেঘের তেজস্বী রূপে সার,
সে-ই যে কালবৈশাখীর সজোর ঝড়!
সে-ই যে বিজয়, সে-ই যে যুদ্ধ,
সে-ই যে মহাকালের দীপ্ত শুদ্ধ।
সে-ই যে সাহস, সে-ই যে শ্রেষ্ঠ,
তারি মহিমায় যুগ হয় শুদ্ধ।
সে-ই যে বজ্রের বিদ্যুৎ প্রবাহ,
সে-ই যে বিশ্বময়ী মহাসারথি সমারোহ।
তার জ্ঞান দীপ্ত, তার তেজ স্পষ্ট,
তারি গানে লেখা ইতিহাস দৃষ্ট!
সে প্রেম দিলে হৃদয় প্রসারিত,
সে রাগিলে বিশ্ব কম্পিত।
সে কোমল বাতাস, সে মধুর গান,
সে জীবন সুর, সে ঝংকার প্রাণ!
সে-ই যে শীতল, সে-ই যে আগুন,
সে-ই যে তৃষ্ণার বারিধি গুণ!
সে-ই যে পূর্ণিমার স্নিগ্ধ কিরণ,
সে-ই যে সূর্যের আগুন ভরণ!
সে-ই যে সুর, সে-ই যে বাণী,
সে-ই যে প্রেমের অমর রাণী!
সে-ই যে রক্ত, সে-ই যে প্রাণ,
সে-ই যে আলোর অনন্ত গান!
হে বিধাতা! যদি পাঠাও পুনরায়,
আমি আসিব নারী হয়ে তব,
আমি হাসিব ত্যাগের গৌরবে,
আমি জ্বলিব ন্যায়ের উৎসবে!
আমি হবো ধরণীর শক্তি,
আমি হবো জ্ঞানের প্রতিচিত্র,
আমি হবো মায়ের মমতা,
আমি হবো জয়ের অমর পত্র!
পৃথিবীর বুকে এক সত্য থাকিবে,
নারীর মহিমা চিরকাল জাগিবে।
কবি : এ্যাস্ট্রোলোজার ছালাম শিকদার
পটুয়াখালী
১৬/৩/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
কপিরাইট সংরক্ষিত!