

তিন আরোহীর মোটর সাইকেল চাপায়
আহত হয়ে সড়কে পড়ে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসলেন সুনামগঞ্জের ডিসি
বিশেষ প্রতিবেদক: মোটরসাইকেল চাঁপায় আহত হয়ে দু’দিন ধরে সড়কে পড়ে থাকা এক বাক শক্তিহীন মানসিক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক(ডিসি)!
শুক্রবার- শনিবার গেল দুদিন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার নির্দেশে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের তদারকিতে নাম পরিচয় হীন আহত প্রতিবন্ধীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, গেল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাহিরপুরের বাদাঘাটের ঘাগটিয়া চক বাজার সড়কের পাশে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধীর শরীরের উপর দিয়ে তিন আরোহী বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসা মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যায়।
সড়কের পাশে আহত হয়ে কাতরাতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধীকে স্থানীয় বাজারের পল্লী চিকিৎসক ব্যাথা নাশক ইনজেকশন দিলেও পরদিন শুক্রবার বিকেল ৪টা অবধি সড়কের পাশের্^ই আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছিলেন ওই প্রতিবন্ধী।
এলাকাবাসী দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদকে প্রতিবন্ধীর আহত হওয়ার ঘটনাটি অবহিত করেন।
এরপর দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাক শক্তিহীন মানসিক প্রতিবন্ধীর আহত অবস্থায় একটি ভিডিও চিত্র পোষ্ট করেন। ঘন্টা খানেকের মধ্যে দেশ বিদেশে থাকা অর্ধ লক্ষাধিক নেটিজেনরা সেই ভিডিও চিত্র দেখে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসা সেবার আহবান জানান। ভিডিও চিত্রটি নজরে আসে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের। এরপর তিনি স্ব প্রণোদিত হয়ে আহত প্রতিবন্ধীর চিকিসা সেবা গ্রহনের উদ্যোগ নেন।
রোববার বিকেলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ঘাগটিয়া গ্রামের যুবক রুবেল, চক বাজারের ব্যবসায়ী মহল এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, তাহিরপুরের ইউএনও, দৈনিক যুগান্তর পরিবার ও যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,গত ১৭ থেকে ২০ বছর ধরে নাম পরিচয়হীন মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক গ্রামের ঘাগটিয়া চক বাজারে অবস্থান করছিলেন। এলাকার সকল মহল তিন মোটরসাইকেল আরোহীদের এমন বেপরোয়াপণায় মানসিক প্রতিবন্ধীকে আহত করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজা রিয়াদ হাসান জানান, আশংকা করা হয়েছিলো মোটরসাইকেল চাপায় মানসিক প্রতিবন্ধীর ঘাড়ে হাড় ভেঙ্গে গেল কিনা?। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেয়ার পর ধারণা করছি আপাতত অনেকটা শংকামুক্ত হয়েছেন ওই প্রতিবন্ধী যুবক।