• আজ ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১১ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় | ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন ড. ইউনূস | পতেঙ্গা সৈকতে গোলাগুলি, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ঢাকাইয়া আকবর গুলিবিদ্ধ | ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিকের সুযোগ নেই: রিজওয়ানা | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদ ইসলামের সাক্ষাৎ, যে সব কথা হলো | দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম | ৭ দিনের মধ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ | সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কি না, পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি | তথ্য গোপন করায় ফেঁসে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা | আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক |

ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন ড. ইউনূস

| নিউজ রুম এডিটর ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | মে ২৪, ২০২৫ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

 

প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে সংবিধানে নির্ধারিত ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করতে পারলেই দায়িত্বে থাকবেন ড. ইউনূস। তা না হলে পদত্যাগ করবেন। এক্ষেত্রে আজ একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভা শেষে অনির্ধারিত বৈঠকে উপদেষ্টাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের আলোকে তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক দলের নানা ইস্যুতে রাজপথ উত্তপ্ত হওয়াসহ বেশকিছু কারণে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পদত্যাগ চিন্তার বিষয়টি উত্থাপন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা তাকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু কিছু যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন বলে কেউ কেউ দাবি করেন। এমনকি এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করার আয়োজন করতেও বলা হয়। স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ শুরু হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের ২-৩ জনের বিশেষ অনুরোধে তিনি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। উপদেষ্টা পরিষদের ওই বৈঠকের ২ দিন পর আজ আবার বৈঠক হতে যাচ্ছে।

সূত্রটি জানায়, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এবং দু-একটি রাজনৈতিক দলের আচরণে সম্প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাদের সামগ্রিক আচরণে হতাশ হয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ড. ইউনূসের বক্তব্য হলো-সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের রেফারেন্সের আলোকে সুপ্রিমকোর্টের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। এই শপথের আলোকে দেশের প্রধানমন্ত্রী যেসব কাজ করতে পারেন, প্রধান উপদেষ্টাও একই কাজ করতে পারেন। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে। এখানে বিকল্প কোনো অপশন নেই। আইনগত কোনো ধরনের বাধাও নেই। ম্যান্ডেট নিয়েও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কিছু কাজে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি বলে বলা হচ্ছে।

এদিকে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদকে ইঙ্গিত করে দু-একটি রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে যেসব বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছে, তা আপত্তিকর ও অসম্মানজনক। সূত্রটির দাবি অনুযায়ী ড. ইউনূস মনে করেন, ‘কোন কাজ করব কিংবা করব না-সে ব্যাপারে আলোচনা, পরামর্শ কিংবা মতামত দেওয়ার মতো বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু অধীনস্থ কেউ প্রধান উপদেষ্টাকে নির্দেশনা দিতে পারেন না।’ মূলত এমন বিষয় প্রধান উপদেষ্টাকে বিব্রত করেছে।

সূত্র জানায়, বিদ্যমান প্রেক্ষাপট এখন বিষয়গুলো অবশ্যই সামনে আনা হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। আজ একনেকের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক আছে। বৈঠকে নিয়মিত ও এজেন্ডাভিত্তিক আলোচনা শেষে উপদেষ্টাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে পুরো বিষয়টি তিনি তুলে ধরবেন। বৈঠকের সার্বিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবেন। রাজনৈতিক দল উপদেষ্টা পরিষদের অবস্থানের সঙ্গে একমত হলে তিনি স্বপদে থাকবেন। না হলে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে নিজের অবস্থান তুলে ধরে বিদায় নেবেন।

আর যদি সবাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একমত হন কিংবা ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবাই যদি কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন তাহলে তিনি থাকবেন। এছাড়া ঐকমত্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে দেবেন।

অন্যদিকে সম্প্রতি বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ শুক্রবার যমুনা টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে ৬ দিনেও সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সূত্রটি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে।