

তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গোলাবারুদ উদ্যার
সিলেট:.সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ।সেনা অভিযোনে গুলি সহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ একাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্যার করা হয়েছে।
নিহতের নাম আবু সাঈদ (৩২)। সে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তারপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে।
জেলার দিরাই থেকে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, তাদের হেফাজতে থাকা আরো আগ্নেয়াস্ত্র,দেশীয় অস্ত্র উদ্যার করতে রোববার রাতভর সেনাবাহিনীর সদস্যরা, জগন্নাথপুর,দিরাই থানা পুলিশ রোববার রাতভর জগন্নাথপুরের গাদালিয়া গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছেন বলে নিশ্চিত করেন ওই অভিযানে থাকা ৫৭ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্বশীল সেনা অফিসার।
রোববার রাতে দিরাই-জগন্নাথপুরের একাধিক বাসিন্দা, সেনা বাহিনী, থানা পুলিশ সূত্র যুগান্তরকে জানান, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা একাধিক হত্যা মামলার আসামি একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামীণ প্রভাব বিস্তার নিয়ে গেল কয়েকবছর ধরেই গ্রামে আতংক উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। ফের উভয় পক্ষের প্রভাব, নিজেদের অস্ত্রের মজুদ প্রকাশ্যে জানান দিতে গেল শুক্রবার উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পুর্বেও দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বন্দুকবাজী ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার বিকেলে ৫৭-ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনাবাহিনীর শান্তিগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল দিরাই’র হাতিয়া গ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়।
সেনা অভিযানের খবর আঁচ করতে পেরে দিরাই’র হাতিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারযোগে দূর্গম হাওর পথে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেনাবাহিনী সদস্যরা ওই গ্রামে পৌছার পর গ্রামে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওই সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় সন্ত্রাসীদের লক্ষ করে। এরপর গোলাগুলি বন্ধ হলে ওই গ্রামে দিরাই’র তারাপাশা গ্রামের আবু সাঈদের মরদেহ দেখতে পান গ্রামবাসী।
রোববার রাত সোয় ৩টায় এ প্রতিবেদন লিখার সময় জানতে চাইলে ৫৭-ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনাবাহিনীর শান্তিগঞ্জ ক্যাম্পের এক দায়িত্বশীল সেনা অফিসার জানান, রোবরার রাতে সন্ত্রাসীদের হেফাজতে থাকা তিনটি আগ্নেয়ান্ত্র,গোলাবারুদ,গুলি,একাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্যার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ফের অভিযান চালানো হলে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এমনকি আরো একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র,গোলাবারুদ,গুলি,দেশীয় অস্ত্র উদ্যার করা সম্ভব হতে পারে বলেও জানান ওই সেনা অফিসার।
এদিকে আবু সাঈদ কি কারনে ওই রাতে দিরাই’র তারাপাশা গ্রামে থেকে জগন্নাথপুরের গাদালিয়া গ্রামে অবস্থান করেন এবং কোন পক্ষের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত নন বলে জানান, জগন্নাথপুর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞ।