ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাসের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার ওসি মু. মুরাদুল ইসলাম।
ওসি জানান, ফেসবুকে একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা চিত্ত রঞ্জন দাসের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, চিত্ত রঞ্জন দাস একটি কক্ষে ২০-২১ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করছেন। ওই কক্ষের কেউ তা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, এমন নৈতিক স্খলন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যক্তি চিত্ত রঞ্জন দাসের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় দল নেবে না। এর দায় তাকেই নিতে হবে। চিত্ত রঞ্জন দাসের আগে থেকেই চারিত্রিক ত্রুটি ছিল। যার কাছে একটি মেয়েও নিরাপদ না, তিনি আবার জনগণের সেবক হন কীভাবে তা ভেবে পাই না। এই নৈতিক অবক্ষয় মেনে নেওয়া যায় না।
সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের জামিরুল ইসলাম বলেন, চিত্ত রঞ্জন দাসের মতো একজন দায়িত্বশীল প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলরের কাছ থেকে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না। ভিডিওটি দেখার পর থেকে আমি চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
তবে শনিবার চিত্ত রঞ্জন দাস বলেন, এটি কোনো আপত্তিকর ভিডিও নয়। আমি ওই নারীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সেল করেছি।
পিএন/জেটএস