• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ঘটনায় দায়ীদের শিগগিরই গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

| নিউজ রুম এডিটর ৩:০২ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১৭, ২০২১ সারাদেশ

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দায়ীদের খুবই শিগগিরই গ্রেপ্তার করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যেভাবে এগোচ্ছি, তাতে আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই তাঁদের (দায়ী) গ্রেপ্তার করতে পারব।

তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় ২/৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিনষ্ট করতেই এ ঘটনা। তদন্ত করে শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছেন? সে বিষয় চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এ ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোন কারণ আছে। কিছু দিনের মধ্যে আমরা আরও ক্লিয়ার বলতে পারবো। কুমিল্লার ঘটনায় আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি দেখছেন। আমরা একটি নির্ভুল তদন্তের মাধ্যমে সব ঘটনাটি শিগগিরই আপনাদের জানাবো বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি আমাদের দেশের লোক ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই ঘটনানো হয়েছে। এটা যেই করেছেন বা কার ইন্ধনে করেছেন তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। আমরা প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই করবো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু কুমিল্লায় নয়, রামুতে, নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা করে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিই মূল উদ্দেশ্য। আমাদের দেশের লোক ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাসকে কোনো দিন স্থান দেইনি। সবাই একত্রিত হয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসকে দূর করেছিল। এমন একটি পরিস্থিতিতে আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কাদের লাভ হবে? করা এতে লাভবান হবে আপনাদের কাছে সেই জিজ্ঞাসা আমার। আমরা অনেক কিছু দেখছি, অনেক কিছু অনুমান করছি, এগুলো আমরা প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

চারজনের প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পরপরই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ এলাকায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। নোয়াখালী, ফেনী কক্সবাজারে ছোট ছোট ঘটনা ঘটেছে। হাজীগঞ্জ ও নোয়াখালীতে প্রাণহানি হওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।

তিনি আরও বলেন, কোনো ধর্মাবলম্বী মানুষ এই কাজটা করতে পারে না। সবাই ধর্মভীরু, যার যার ধর্ম সে সেই ধর্ম পালন করেন। কাজটা যেই করেছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছেন, যে করেছেন কারো ইন্ধনে এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে বিনষ্ট করতে করেছেন, আমরা সবকিছুই তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো, যাতে করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার প্রয়াস যেন কেউ না পায়।

পিএন/জেটএস