ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমিকের জিহ্বা কেটে রাখার ঘটনায় থানায় প্রেমিকাসহ পাঁচ জনের নামে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন প্রেমিক সাইফুর ইসলামের বাবা রহমত আলী। ওই রাতেই পরিবারের চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, সাইফুর রহমানের নিকট ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাইফুরকে ডেকে নিয়ে তার জিহ্বা কেটে দেন শফিকুলের পরিবার। এ ঘটনায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের রোববার সকালে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে ঘটনার পরপরই সাইফুরের পরিবার অভিযোগ করে, তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে না চাওয়ায় শফিকুলের মেয়ে (২৫) তাকে ডেকে নিয়ে কৌশলে সাইফুরের জিহ্বা কেটে দেন।
আর মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করে সাইফুর বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও বিয়ে নিয়ে গড়িমসি করছিলেন। তা নিয়ে ক্ষিপ্ত হন মেয়েটি। এমন অভিযোগ থাকলেও থানা পুলিশের কাছে দায়ের করা মামলায় নেই এমন কোনো অভিযোগ। দেখানো হয় টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা মুঠোফোনের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে শেখ গোলাম মোস্তফা জানান, বাদী কোনো ফোন ব্যবহার না করায় তার নম্বরটি দিয়ে দিয়েছেন। বাদী তার চাচা শ্বশুর। সব কিছুতো মামলায় দেয়া যায় না। আমরা টাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছি।
তাদের দুইজনের সাথে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে মোস্তফা জানান, তারা একে অপরকে ভালবাসতো। ছেলের পরিবার বিয়েতে রাজি থাকলেও মেয়ের পরিবার তাতে রাজি ছিলেন না। একে অপরের জানা শুনা ছিল।
স্থানীয় রোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম শামসুদ্দিন বলেন, শুনেছি মেয়েটির সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে শামিল হতে গেলে ছেলের জিহ্বা কেটে রেখে দেয় মেয়েটি।
ধামরাই থানার পরিদর্শক তদন্ত ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, শুরুতে শুনেছি মেয়েকে নির্যাতনের সময় জিহ্বা কেটে রেখে দেয়া হয়। আর পরে দেখলাম টাকার লেনদেন বিষয়টি দিয়ে একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।
পিএন/জেটএস