• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে বেকায়দায় আওয়ামী লীগ, গলার কাটা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা!

| নিউজ রুম এডিটর ৫:৪৮ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২২, ২০২১ মুন্সীগঞ্জ, সারাদেশ

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদারঃ আগামী ২৬ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় ব্যবস্ত সময় পার করছেন।

প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা ও ব্যানার পোষ্টার টাঙানোর মধ্য দিয়ে এ উপজেলায় নির্বাচনি আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় (নৌক) প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বেশ জোড়ালো ভাবেই। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকায় প্রার্থীরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গলার কাটা মনে করছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী হেভিওয়েট নেতারা নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে নৌকার প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভিতরগত ভাবে সমর্থনসহ বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন। এমনকি তৃনমুলের নেতাকর্মীরা পদ হারানোর ভয়ে দিনে নৌকার প্রতিকের প্রার্থীদের পক্ষে এবং রাতে গোপনে গোপনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে করে দলীয় সমর্থক ও কর্মী হারিয়ে অনেকটাই বেকায় পরেছেন নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থীরা।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও নেতা হিসেবে তৃনমূল কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের যেসকল হেভিওয়েট নেতারা নৌকা চেয়ে পাননি তারা দল থেকে বহিষ্কারের ভয়ে নির্বাচনে না দাড়িয়ে যারা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন তাদেরকে সমর্থন দিয়ে গোপনে নৌকার প্রার্থীকে হারাতে সার্বিক সহযোগী করছেন। এতে করে স্থানীয় ভাবে জণপ্রিয়তা থাকার পরও দলীয় নেতাকর্মী না পেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা তাদের নৌকার ভরাডুবির আশঙ্কায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটনানোর পাশাপাশি সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

গত কয়েকদিন আগে জৈনসার ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী খায়ের বেপারীর লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম দুদুর প্রচারণায় বাধা দেওয়াসহ সমর্থকদের মারধর করে। এর আগে বাসাইল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুজ্জামান পনিরের প্রচারণায় তার সমর্থকদের মারধর করে নৌকা প্রার্থী ছাইফুল ইসলাম যুবরাজের লোকজন। এদিকে কেয়াইন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম শেখের লোকজন কর্তৃক নৌকার প্রার্থী মোঃ আশরাফ আলী শেখের সমর্থকদের প্রচারণায় বাধা ও সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার মত বিচ্ছিন্ন ঘটনাসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারনায় বাধা, হুমকি দেওয়াসহ কর্মী ও সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুজ্জামান পনির বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাইফুল ইসলাম যুবরাজের লোকজন আমার সমর্থকদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে তারা যেনো আমার নির্বাচন ও সমর্থন না করে।

তারা এ পর্যন্ত আমার একাধিক সমর্থক ও কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। নৌকার প্রার্থীর এমন অরাজকতা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।