দেশে গণতন্ত্র চর্চা না হলে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বাংলাদেশ এক ঘরে হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ করোনা আক্রান্ত দলের নেতাদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, বিশ্বের শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা কি রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য? সরকার যদি তাদের অবসরে পাঠিয়ে দিত তাহলেও তো তারা (যুক্তরাষ্ট্র) মনে করত বাংলাদেশের সরকার বিষয়টি আমলে নিয়েছে।
‘কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পাত্তা না দিয়ে যাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাদের প্রেসিডেন্ট পুরষ্কারে ভূষিত করেছে। আশঙ্কার বিষয়, আমরা যেভাবে পাত্তা দিচ্ছি না সেটি বহির্বিশ্বের শক্তি ও রোষানলে একঘরে হয়ে যাব না তো? একা কোনো দেশ চলতে পারে না, একা চলা যায় না।’
বিএনপির রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় আছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন না, দল কীভাবে চালাতে হয় খালেদা জিয়া তা প্রমাণ করেছেন। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আপসহীন খালেদা জিয়া ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ আখ্যা পেয়েছেন। খালেদা জিয়া বিছানায়, তারেক রহমান বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করছেন। তিনিও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার লড়াইয়ে তারেক রহমান সফল হবেন এবং তিনি ‘সান অব ডেমোক্রেসি’ হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পাবেন।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। আমাদের কথা হবে নিরপেক্ষ সরকারকে নিয়ে। এখানে নির্বাচন কমিশন কোনো ‘ফ্যাক্টর’ না। মূলত ৭০-৮০ জন সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনা করে। আমাদের কটাক্ষ করে বলা হয়, ‘মির্জা ফখরুলকে নির্বাচন কমিশন বানানো হবে’। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মির্জা ফখরুল, মোশাররফ বা আমাকে প্রধান করলেও ভোট সুষ্ঠু হবে না।
কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মোশারফ হোসেন এমপি প্রমুখ।