রাকিব হোসেন:আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল জেলা বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এর সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি লোকমান হাকিমের সভাপতিত্ব মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিড়ি শ্রমিক নেতা শাহিন হাওলাদার, সুমন সাহা, ফারহাদ হোসেন, সোহাগ মিয়া, শাহিন খলিফা প্রমূখ।
শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো হলো-সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেখে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া, কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষকে আইনী প্রক্রিয়ায় নকল বিড়ি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও মালিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ অসংখ্য শ্রমিকের পরিবারের রুটি-রুজি নির্ভর করে বিড়ি শিল্পের উপর। স্বাধীনতার পর এদেশের সাধারণ মানুষ ও অসহায় শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিড়ি শিল্পকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেন। শ্রমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে সিগারেটে শুল্ক বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন। কিন্তু ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানী এদেশের কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাকে ব্যবহার করে বিড়ির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা। ফলে করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারখানা বন্ধ হওয়ায় কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে বিড়ি শ্রমিকরা। অন্য কাজ না পেয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।”
বক্তরা আরো বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। এতে ব্যবহৃত সকল কাঁচামাল দেশেই উৎপাদিত। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে বৈষম্যমূলকভাবে এ শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। আমরা এষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করার জোর দাবি জানান শ্রমিকরা।