• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাগবে না নিবন্ধন, কেন্দ্রে গেলেই মিলবে টিকা

| নিউজ রুম এডিটর ৬:১৫ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

এবার অনলাইনে নিবন্ধন করা ছাড়াই নেওয়া যাবে করোনার টিকা। এ জন্য প্রয়োজন হবে না জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচত্র। এ ক্ষেত্রে সেসব ব্যক্তি যাদের জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা সরাসরি কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
লাগবে না নিবন্ধন, কেন্দ্রে গেলেই মিলবে টিকা

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক মো. শামসুল হক।

তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় যারা অনলাইনে টিকার নিবন্ধন করতে পারেননি, তারা এসব কাগজপত্র ছাড়াই সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, মুঠোফোন নম্বরের মাধ্যমে এসব ব্যক্তিদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে। তাদেরকে একটি টিকাকার্ডও দেওয়া হবে। ওই টিকাকার্ডই তাদের টিকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

শামসুল হক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি একদিনে ১২ বছরের বেশি বয়সী এক কোটি ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার হবে। এদিন প্রতি ইউনিয়নে ৩টি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে দল থাকবে। এর বাইরেও প্রতি উপজেলায় ৫টি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ টিকা প্রদান দল থাকবে।

তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি; বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার দলগুলো ৩০০ জন এবং সিটি করপোরেশনের দলগুলো ৫০০ জন করে ব্যক্তিকে টিকা দেবে।

এদিকে, ওমিক্রনের প্রভাবে টানা ৬ সপ্তাহের ঊর্ধ্বগতির পর এবার চূড়া থেকে নামছে কোভিড সংক্রমণ। গত সাতদিন ধরেই শনাক্তের হার নিম্নমুখী। যদিও মৃত্যুহার কমেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামগ্রিক চিত্র কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে প্রাণহানিও কমবে বলে আশা তাদের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন মুন্সি বলেন, অন্য কোনো ভ্যারিয়েন্ট না আসলে শনাক্তের হার আর বাড়বে না।