• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

| নিউজ রুম এডিটর ৭:০৬ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

দেশের তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চাই এবং আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি যেন আন্তর্জাতিকভাবে আরও বিকশিত হয়, সেটিই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। সেই প্রচেষ্টাতেও আমরা সফলতা অর্জন করব বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৪ বিশিষ্টজনের হাতে একুশে পদক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ তার অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। দেশের সব মানুষ শিক্ষায়, অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিক ও শারীরিকভাবে সাফল্য অর্জন করবে। বিশ্বদরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলবে এটিই ছিল জাতির পিতার আকাঙ্ক্ষা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ‘৭৫ এর পর সেই চেতনা লুণ্ঠিত হয়। আমরা আরও পিছিয়ে পড়ি।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান, তা মুছে ফেলা হয়েছিল। আসলে সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না, ইতিহাস ঠিকই ফিরে আসে। আজকে আমাদের সেই দিন।

একুশে পদক প্রদান বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আজ যত গুণীজন এখানে পুরস্কৃত হয়েছেন, তাদের অনেকেই সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৬৯, ৭০, ৭১-এর মুক্তি সংগ্রামের সবক্ষেত্রেই অবদান রেখেছেন। তাদের খুঁজে বের করে সম্মানিত করার মাধ্যমে আজকের নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের সেই অবদান সম্পর্কে জানানো এবং তাদের পরিচিত করে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি জানি, সবাইকে আমরা সম্মাননা দিতে পারি না। তবু আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, যারা একসময় অবদান রেখেছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো হারিয়েও যাচ্ছিলেন; আমরা তাদেরও খুঁজে বের করে সম্মান জানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাতে করে ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে আমাদের দেশের মানুষ মুক্তি পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুণীজনরাই আমাদের পথ দেখান। আপনাদের অবদান বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যার জন্য আমাদের এই অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে। তাই সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন দেশের কল্যাণে কাজ করে, সেটিই আমি চাই।