নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আদালতের নির্দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে পুলিশ ইটভাটা বন্ধে দু’দফা নোটিশ দিলেও পুলিশী নোটিশের তোয়াক্কা না বীরদর্পে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে উচ্ছশৃঙ্খল রহিম বাদশা গং। পুলিশী বাধা উপক্ষোর এ ঘটনাটি ঘটে মুসাপুর ইউনিয়নের শাসনেরবাগ এলাকায়। ঘটনাটি গোটা বন্দরে
ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে একাধিক মামলা ও নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে সবেরও তোয়াক্কা করছে না তারা। ভুক্তভোগী হাজী রহিম
বাদশা জানান,শাসনেরবাগ এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে রহিম বাদশা,আবু সাঈদ,শাহাদ উল্লাহর ছেলে খলিল,মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে শরীফ,ইকবাল,ইব্রাহিমের ছেলে
জামাল বাদশা ও আসাদ মিয়ার ছেলে সেলিম গংয়ের সঙ্গে একই এলাকার মৃত আম্বিয়া মেম্বারের ছেলে হাজী রহিম বাদশার দীর্ঘ দিন ধরে ইটভাটার বিরোধ অব্যাহত ছিল।
এ নিয়ে সম্প্রতি হাজী রহিম বাদশা নারায়ণগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার
স্বার্থে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে ১৪৫ ধারা জারি করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের উভয়পক্ষকে ইটভাটায় সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখাতে নোটিশ প্রদান করে।
কিন্তু পুলিশ নোটিশ দিয়ে যাওয়ার পর পরই রহিম বাদশা গং পূণরায় ইটভাটার কার্যক্রম চালু করেন। এ খবর পেয়ে পুলিশ দ্বিতীয় দফা ঞটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রহিম বাদশা গং দ্রæত সটকে পড়ে। তবে আইনী আশ্রয় নেয়ার পরও নিজের ইটভাটা দখলে নিতে না পারায় বর্তমানে চরম শংকার
মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন হাজী রহিম বাদশা ও তার পরিবারের সদস্প্র শাসনের উর্দ্ধতন মহলের প্রতি তদন্তপূর্বক আশু ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।