রাজধানীর শাহজাহানপুরে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে প্রাণ যায় কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান জামাল প্রীতির।
বাবার স্বল্প বেতনে টানাটানির সংসারে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোট ভাই আর প্রীতির পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে সংসার চালানো কঠিনই ছিল। তাই সংসারে একটু সাচ্ছন্দ্য আনতে এপ্রিল মাস থেকেই একটি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রীতি। তবে দুর্বৃত্তদের ছোড়া বুলেট থামিয়ে দিল পরিবারটির সব স্বপ্ন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে শুক্রবার সকালে মেয়ের লাশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন।
এ সময় তিনি আহাজারি করে গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়েটা বদরুন্নেছা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, কিন্তু ফলাফল খারাপ হয়েছে। আবার দেবে ঠিক করেছিল। এপ্রিলে ১৫ হাজার টাকা বেতনে একটা কোম্পানিতে চাকরিতে যোগ দেবে বলে কথা ছিল ।
৫৪ বছর বয়সী জামাল উদ্দিন মিরপুর-২ নম্বরে একটি কোম্পানিতে স্বল্প বেতনে চাকরি করেন। স্ত্রী হোসনে আরা, এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে সামী ও কলেজপড়ুয়া মেয়ে প্রীতিকে নিয়ে টানাটানিতেই তার সংসার চলছিল ।
মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরীব মানুষ, মামলা করেই বা কী হবে? এগুলো (মামলা) নিয়ে ভাবতে পারছি না, মেয়েই আমার চলে গেল।
তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। ঢাকার শাহজাহানপুরের কাছেই শান্তিবাগে ছোট দুই কক্ষের বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা।