• আজ ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এনসিপির সমাবেশে হামলা: সরকারের কঠোর বার্তা | সারাদেশে ব্লকেডের ডাক দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন | গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি | মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা | বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার |

‘তোয়ারার লাই আঁর পেট পুরে’

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ১, ২০২২ জাতীয়, বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার : বদলে যাও কক্সবাজার’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘তোয়ারার লাই আঁর পেট পুরে’ বলে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রীর মুখে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শুনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কক্সবাজারের মানুষ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি কক্সবাজারবাসী এবং সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে প্রয়োজনে আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব বাধা অতিক্রম করে দেশবাসীর জন্য একটি সুন্দর ও উন্নত জীবনের ব্যবস্থা করে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার প্রচুর ইচ্ছা ছিল আমাদের। তাই আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেলে আমাদের কক্সবাজারে নিয়ে যেতেন। বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময় জেলে থাকতেন। তাই জেল থেকে ছাড়া পেলে আমাদের কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। আমরা বাবার কাছে বায়না ধরতাম।

কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ পর্যটন এলাকা, স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ, রেললাইন থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার আমরা রক্ষা করেছি। শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। আজ বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল দেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে। তাই সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি।

সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ারে বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ স্লোগানে এই উৎসব শুরু হয়। রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসব উদযাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় বেজে উঠে জাতীয় সংগীত। এরপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয় আশপাশ।

উৎসবে স্থানীয় উন্নয়নের ওপর বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।