ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশ বাঁচাতে সরকার হটানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ খুব কষ্টে আছেন। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বেড়েছে। যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সে লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘ফ্যাসিস্ট সরকারকে’ হটাতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আয়োজনে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামা ওবায়েদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, নিলোফার চৌধুরী মনি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।
২০ দলীয় জোট ও অন্যান্য দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আব্দুল হালিম, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসেনানি ও গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে ইফতারে থাকতেন। আজকে তাকে ছাড়াই আমরা ইফতার করছি।’
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ধরে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে, ততদিন ধরে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সেজন্য তারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাইছে।’
সভাপতির বক্তব্যে এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকার দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেশে সংকট তৈরি করেছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার আরও ক্ষমতায় থাকলে দেশে সংকট আরও বাড়বে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই সরকারকে হটাতে হবে।