• আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়হান হত্যা মামলা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৪৬ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১৮, ২০২২ আইন ও আদালত, সাহিত্য

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। হত্যার দেড় বছর পর সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিমের আদালতে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ শুরুর নির্দেশ দেন বিচারক মো. আব্দুর রহিম। বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বিচারক মো. আব্দুর রহিমের আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। ছয় আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন (খারিজ আবেদন) দেওয়া হয়েছিল আদালতে। সেটি নামঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী জানান, দণ্ডবিধির ৩০২, ২০২ এবং ৩৪ ধারায় মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ মে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। ওইদিন নিহত রায়হানের স্ত্রীসহ আরও কয়েকজনের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে।

অবেশেষে মামলার বিচারকাজ শুরু হওয়ায় খুশি হয়েছে রায়হানের পরিবার। রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, দেড় বছর অপেক্ষার পর বিচারকাজ শুরু হলো। আশা করছি, সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলায় পাঁচ পুলিশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।

অভিযুক্তরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।

এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন। ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

রায়হান হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।