বাংলাদেশের মিষ্টির সুখ্যাতি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার বিকালে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সল্টলেকের ‘বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ’এ বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো মিষ্টির সুখ্যাতি করেন মমতা।
আগামী বুধবার (২০ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন’ (বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট)। ওই সম্মেলনে যোগ দিতেই মঙ্গলবার সকালের দিকে কলকাতায় আসেন টিপু মুনশি। মমতা ব্যানার্জির আমন্ত্রণেই এদিন বিকালে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন টিপু। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যটির শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, মুখ্য অথনৈতিক উপদেষ্টা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস প্রমুখ।
প্রথমেই মমতা ও টিপু একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং প্রত্যেকেই তাদের সাথে থাকা প্রতিনিধিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় আন্দালিব ইলিয়াসকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন ‘আগের উপ-হাইকমিশনারের সাথে যোগাযোগ ভাল ছিল। আপনি নতুন এসেছেন। আপনার সাথে আজকেই প্রথম দেখা হলো।’
এরপরই তিনি বলেন ‘এরমধ্যেই শেখ হাসিনা এত মিষ্টি পাঠিয়েছে যে, বাপ রে বাপ! তার মধ্যে হলুদ মিষ্টিটা এত ভালো… যে আমি অনেক লোককেই ওই মিষ্টিটা পাঠিয়েছি, তারা খেয়ে খুব খুশি। সকলেই বলেছে এর স্বাদ একটু অন্যরকম। তারা খুব যত্ন করে এটা করে। ওই দোকানটা খুব প্রিয়। আমি দেখেছি যে বাংলাদেশ সবসময় ওই মিষ্টিটাই প্রেফার করে।’ প্রত্যুত্ত্বরে ইলিয়াস জানান ‘ওটা গোপালগঞ্জের মিষ্টি, ভোর বেলায় বানিয়ে দিনে দিনেই সেটা পাঠানো হয়েছে।’
টিপু মুনশির কাছে মমতা জানতে চান ‘হাসিনা জি কেমন আছেন? ভালো আছেন? প্রত্যুত্তরে টিপুও জানান ‘হ্যাঁ’। পরক্ষণেই টিপু মুনশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে জানতে চান ‘আপনি কেমন আছেন? মমতা বলেন ‘চলে যাচ্ছে।’