

সাইফুল ইসলাম ফয়সালঃ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী সংলগ্ন তারাপুর থেকে অপহরণের পর সাত বছরের শিশু আরাফাত হোসেন বাপ্পিকে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ওই শিশুর সৎ বাবা সেলিম প্রকাশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি আদালতে বাপ্পি হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন,সেলিম আদালতে বলেছেন, নিজ ছেলের কথা চিন্তা করে পথের কাটা সৎ ছেলেকে সরিয়ে দিতে তিনি একাই বাপ্পিকে হত্যা করেছেন।’
সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাজোর গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ এপ্রিল সকালে বাপ্পীকে তার মামার বাড়ি সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন তারাপুর গ্রাম থেকে অপহরণ করেন তার সৎ বাবা সেলিম। পরে সে তার বাড়ির অদূরে ধনাজোরা গ্রামের জলাশয়ে নিয়ে বাপ্পীর গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ডুবিয়ে রাখেন।
এ ঘটনার পর বাপ্পীর নানা জালাল মিয়ার কান্নাকাটি দেখে ঘাতক সেলিম গত ১৭ এপ্রিল সেই মরদেহ গুম করার ঘটনাস্থল দেখিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ওই রাতে পুলিশ উপজেলার ধনাজোর গ্রামের একটি জলাশয় থেকে শিশু বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ঘাতক সেলিমকে উপজেলার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে (সেলিম) জানিয়েছে, তার নবজাতকের মাথায় শিশু বাপ্পি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দেয়। এতে রাগান্বিত হয়ে তিনি শিশু বাপ্পিকে চড় মারেন। এ নিয়ে নিহত বাপ্পির নানীর সাথে তার ঝগড়া হয়।
তখন তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি চিন্তা করে পথের কাটা সরিয়ে দিতে বাপ্পীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে হত্যা করা হয়।