• আজ ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 প্রধান ফটকে তালা দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা | ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব | ভারত বেড়া নির্মাণ বন্ধে বাধ্য হয়েছে বিজিবির শক্ত অবস্থানে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় একাত্মতা কুবি শিক্ষকদের | গণহত্যার দায়ে কনস্টেবল সুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ | সাকিব ও লিটনকে বাদ দেয়ার যে ব্যাখ্যা দিল বিসিবি | ‘জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একসাথে করা বাস্তবসম্মত নয়’ | সীমান্তে ফের উত্তেজনা, বিএসএফের নতুন সিদ্ধান্ত | ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে নৈশভোজ আ. লীগের পলাতক নেতার  | ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম ফেরত চেয়ে বাকৃবিতে বিক্ষোভ |

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারে নতুন ঠিকানায় তৃতীয় লিঙ্গের ২২ জন

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৪৩ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৬, ২০২২ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর। বরগুনায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে নতুন ঠিকানা পেয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ২২ জন।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরগুনার খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের কাছে তৃতীয় পর্যায়ে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র বরগুনা সদর উপজেলাধীন খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে জমিসহ ৪১১টি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খাজুরতলা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মোট জমি রয়েছে ১১.৪০ একর। এখানে এরই মধ্যেই নির্মিত হচ্ছে ৩২৯টি ঘর। আরও ১৫০টি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে এটি হবে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র। এখানে উপকারভোগী হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছেন ২২ জন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সদস্য, ১০ জন ভিক্ষুক, ২০ জন শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, ২৮ জন স্বামী পরিত্যক্তা নারী, ৪১ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যসহ অন্যান্য সদস্য।

উপকারভোগীরা দুই শতাংশ করে জমি ও ওই জমিতে অর্ধপাকা দুই কক্ষের ঘর পাচ্ছেন বিনামূল্যে। বিদ্যুৎ সংযোগ লাগছে এখানে এবং প্রতিটি ঘরে রয়েছে গোসলখানা, টয়লেট ও রান্না ঘর।

বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় দেশের সব মানুষকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল জনগণকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় আনছেন।

বরগুনার ছয়টি উপজেলায়ই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রথম পর্যায়ে ২৩২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৩টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৭২৫টি ঘরের মধ্যে ৪১১টির নির্মাণ কাজ শেষ, বাকিগুলোর কাজ চলছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ৪১১টি ঘর হস্তান্তর করেছেন।

গৃহসহ জমির দলিল স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে যৌথভাবে করে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হবে। সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া একটি পুকুরও রয়েছে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে। শিশু-কিশোরদের শরীর গঠন ও বিনোদনের জন্য প্রকল্প এলাকায় থাকছে খেলার মাঠ। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক গ্রামের সব সুবিধাই থাকছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে।

বিশেষ করে বরগুনা সদর উপজেলার খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২২ জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ফলে সমাজের মূলধারায় আসার সুযোগ পাবে হিজড়ারা।