রাজধানীতে গভীর রাতে যাত্রীবেশে পাঠাও বাইকে উঠে অবশেষে পাঠাও চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর সময় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই ছিনতাইকারীর নাম কাওছার আহম্মেদ। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। খবর ডিএমপি নিউজের।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম জানান, গত ২৯ জুন রাত দুইটায় ৯৯৯ থেকে একটি ফোন আসে যে পল্লবীর সুলতান মোল্লা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আব্দুল লতিফ মিয়ার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে থানার একটি টহল টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে যেয়ে পরনে জিন্সের প্যান্ট ও পাশে হেলমেট দেখে এবং গলা কাটা দেখতে পেয়ে পুলিশ ধারণা করে কোন মোটরসাইকেল চালককে হত্যা করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক বেতার বার্তার মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী সকল থানাকে ঘটনাটি জানিয়ে দেওয়া হয়। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে রাত আড়াইটায় সাভারের বিরুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল থামার সংকেত দিলে সেটি না থেমে উল্টা ঘুরে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তির পরিহিত কাপড় চোপড়ে ও মোটরসাইকেলে রক্তের দাগ থাকায় এবং তার কথাবার্তা সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিষয়টি পল্লবী থানাকে জানান। পল্লবী থানার একটি টিম সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নেন।
পারভেজ ইসলাম বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কাওছার জানিয়েছে সে ২৯ তারিখ রাত দেড়টার দিকে কালশী মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য দেড়শ টাকা ভাড়ায় একজন পাঠাও চালকের মোটরসাইকেলে ওঠে। মোটরসাইকেলটি আব্দুল লতিফ মিয়ার বাড়ির সামনে আসলে সে থামাতে বলে।
আরও পড়ুন: টানা চার দিন করোনা শনাক্ত দুই হাজারের ওপরে, চার মৃত্যু
এরপর আগে থেকেই ব্যাগে রাখা এন্টি কাটার দিয়ে ভিকটিমের গলায় ঠেকিয়ে পোচ মারলে মোটরসাইকেলসহ চালক রাস্তার ওপর পড়ে যায়। তখন কাওছার মোটরসাইকেল ও তার মোবাইল নিয়ে বিরুলিয়া ব্রিজ দিয়ে সাভারের দিকে পালিয়ে যায়।