ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকে। ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী, ঈদের দিন ছাড়াও এরপরের দুদিন পশু কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে। সেই কারণে অনেকে ঈদের দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানি করছেন। তবে ঈদের দিনের তুলনায় তা অনেক কম।
সোমবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাড়া-মহল্লা ও প্রধান সড়কে পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।
পুরান ঢাকার অনেকে পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষায় আজও কোরবানি দিচ্ছেন। রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদ ও প্রতি বছরের ন্যায় ঈদের পরের দিনই বেশী কোরবানি হয়। কেউ আবার ব্যবসা, কাজের চাপ বা কসাইয়ের অভাবে ঈদের দিন পশু জবাই দিতে পারেননি, তারা আজ কোরবানি দিচ্ছেন। দ্বিতীয় দিনের কোরবানির সংখ্যা পুরান ঢাকায় বেশি। তবে রাজধানীর ফার্মগেট, সেন্ট্রাল রোড, আজিমপুর, ধানমন্ডি এলাকায়ও আজ সকালে কোরবানি দিতে দেখা গেছে।
রাজধানীর আজিমপুরের ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি দিচ্ছেন। তিনি জানান, প্রতি বছর আমরা তিনটি গরু কোরবানি দেই। একটি ঈদের দিন, আজ একটা এবং আগামীকালও আরেকটা কোরবানি করবো। আল্লাহ যেন আমাদের কোরবানি কবুল করেন।
ধানমন্ডির বাসিন্দা ফারহান চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন বাজার খুঁজে মন মতো গরু পাইনি। অবশেষে আফতাব নগর হাট থেকে গরু কিনেছি ঈদের আগের দিন রাতে। ঈদের দিন কসাই পাইনি। আজকের জন্য কসাই পেয়েছি। যেহেতু ঈদের পরের দুই দিনও কোরবানি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে, তাই আজ কোরবানি দিচ্ছি।
ফার্মগেট এলাকায় নিজের বাড়ির সামনের সড়কে কোরবানির কাজ করছেন শেখ ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা দুই ভাই দুটি গরু এনেছিলাম। কাল একটা কোরবানি দিয়েছি। লোকবলের সমস্যা। তাই গতকাল ঈদের দিন বড় ভাইয়ের গরু কোরবানি দিয়েছি। আজ আমারটা কোরবানি করছি।
এদিকে, তেজতুরি বাজার রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিম খানার ছাত্র ফরিদ আহমেদ জানান, তিনি ঈদের দিন ১২টি গরু ও ৪টি ছাগল জবাই করেছেন। আজ সকাল থেকে ৩টি গরু ও একটি ছাগল জবাই করেছেন। এজন্য কারও কাছ থেকে কোনো পারিশ্রমিক নেননি। তবে এতিমখানার জন্য চামড়া চেয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষ চামড়া দিয়েছেন।